ফয়সাল আহম্মদ, ,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের শেকেরকান্দি গ্রামের কাছে একটি সেতুর এপ্রোচ রোডে মাটি না থাকা ও বাঁকা হওয়ার কারনে গাড়ি চলতে না পারায় দশ গ্রামের প্রায় লাখো মানুষের দূর্ভোগ ও নানান প্রকার ভোগান্তি স্বরুপ বিষফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন।
ব্রীজটির উভয় পাশের কল্যানপুর, শেকেরকান্দি, সফিরকান্দি, পঞ্চমপুর, আলীপুর,বুধাইরকান্দি, নতুনহাটি, সরিষারচর, খোষকান্দি, নয়াহাটি, ভগন্নাথপুর, মনাইখালি, উজানচর, মানিকপুর ও ধারিয়ারচর গ্রামের মানুষ নিয়মিত এই সড়কটি ব্যবহার করেন।এই ১৫ গ্রামের মানুষ দ্রুত ব্রীজটি ব্যবহার যোগ্য করে তোলার দাবী করেছেন।
মঙ্গলবার) সরেজমিনে সেতু ও সেতুটির উভয় পাশের্^র এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,কিছুদিন আগে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১৫ গ্রামের বহুদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে ব্রীজটি নির্মান কাজ শেষ করে।নির্মানের সময়ই ঠিকাদারের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে এলাকাবকাসী।কারন,নির্মান কাজ শেষ হওয়ার আগেই ব্রীজের ‘ভীম’ ভেঙ্গে পড়ে যায়।শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ হবার পর,দেখা যায় মূল সেতুতে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন উঠার জন্য যে লেন প্রয়োজন তা সেতুর এপ্রোচ রোডে নেই।এপ্রোচ রোডটি সোজা না করে,করা হয়েছে বাকা করে।তাতে আবার মাটি নেই।প্রস্থ মাত্র ৩ ফিট ১১ ইঞ্চি। ফলে,ব্রীজটি ব্যবহার অযোগ্য হবার কারনে জনগনের কাজে আসছে না।
এবিষয়ে উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি বলেন,-‘গ্রামবাসীর অভিযোগটি সত্য।আমি এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রীজটি ব্যবহারযোগ্য করার জন্য তদ্বীর ও চেষ্টা করবো’।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা(এলজিইডি) মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন,-‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঐ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ব্রীজটি ব্যবহার উপযোগী করার জন্য লোকজন পাঠাচ্ছি’’।