ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তন ঘটবে অতিদ্রুত: মওদুদ

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, অতিদ্রুত বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তন ঘটবে। কখন কোথায় কি ঘটনা ঘটবে আমরা কেউ জানি না। শুধু এটুকু জানি দেশে কোন সরকার নেই, যেটুকু আছে সে টুকুরও পরিবর্তনের সময় চলে এসেছে। কারণ এই সরকারের শেষ সময় এসে গেছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নির্যাতন এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা কেন?’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, সময় আসছে একটা সক্রিয় ইমানি ভূমিকা পালন করার জন্য। সব কিছু দেখে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নেই। র‌্যাব আছে পুলিশ আছে, কিন্তু কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা করা হলো, কারা হামলা করেছে আমরা সবাই জানি। কিন্তু অপরাধী কি গ্রেফতার হয়েছে? বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮শ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেল, সোনা থেকে শুরু করে কয়লা, পাথর পর্যন্ত চুরি করা হলো কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। সরকার থাকলে এগুলো হওয়ার কথা নয়।
মওদুদ বলেন, আমাদের নেত্রী কারাগারে, আমরা সবাই মামলায় জর্জরিত, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই। যারা কোনো মামলার আসামি নয়। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? প্রকৃতির যে আইন, নিয়ম এগুলো নিজস্ব গতিতে চলে।
এর একটি দৃষ্টান্ত কোটা আন্দোলন এবং আরেকটি হলো শিক্ষার্থীদের হত্যার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন। এগুলো কী আমরা কখনও কল্পনা করতে পেরেছিলাম? আজকে এই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসবে এটা কি আমরা কখনও ভেবেছিলাম? এটাকেই বলে প্রকৃতির আইন।
তিনি বলেন, ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার যে নির্যাতন করেছে এটা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে। যতই নির্যাতন করুন শিক্ষার্থীদের মূল্য আপনাদেরকে দিতেই হবে।
‘নির্বাচনে অনিয়ম হতেই পারে’- প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের কড়া সমলোচনা করে মওদুদ বলেন, এই কথা বলার পর তার (নির্বাচন কমিশনার) পদে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অবিলম্বে আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। আজকে পত্রিকায় দেখলাম আরও চার জন নির্বাচন কমিশনার সিইসির বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন। এরপরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তার নিজের পদে থাকার অধিকার থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, আগামী দিনে বিএনপির আন্দোলন হবে এবং সেই আন্দোলন সফল হবে। বেগম জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
মওদুদ বলেন, শিক্ষার্থীর সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতারণা করেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যাবে? কি চেয়েছিল তারা অন্যায় কোন দাবি তো ছিল না, তাদের কিন্তু এখানেও একটা ফাঁকিবাজি ব্লাফ, যে প্রতারণা তারা (সরকার) করেছিল কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে।
তিনি বলেন, শহীদুল আলমের ওপর যে অত্যাচার অকল্পনীয়। সরকার একেবারে বেপরোয়া হয়ে গেছে। জনগণের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। সেজন্য সব শ্রেণির মানুষের ওপর এতো নির্যাতন।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, সাঈদ আহমেদ আসলাম, এম. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তন ঘটবে অতিদ্রুত: মওদুদ

আপডেট সময় ০৩:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অগাস্ট ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, অতিদ্রুত বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তন ঘটবে। কখন কোথায় কি ঘটনা ঘটবে আমরা কেউ জানি না। শুধু এটুকু জানি দেশে কোন সরকার নেই, যেটুকু আছে সে টুকুরও পরিবর্তনের সময় চলে এসেছে। কারণ এই সরকারের শেষ সময় এসে গেছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নির্যাতন এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা কেন?’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, সময় আসছে একটা সক্রিয় ইমানি ভূমিকা পালন করার জন্য। সব কিছু দেখে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নেই। র‌্যাব আছে পুলিশ আছে, কিন্তু কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা করা হলো, কারা হামলা করেছে আমরা সবাই জানি। কিন্তু অপরাধী কি গ্রেফতার হয়েছে? বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮শ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেল, সোনা থেকে শুরু করে কয়লা, পাথর পর্যন্ত চুরি করা হলো কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। সরকার থাকলে এগুলো হওয়ার কথা নয়।
মওদুদ বলেন, আমাদের নেত্রী কারাগারে, আমরা সবাই মামলায় জর্জরিত, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই। যারা কোনো মামলার আসামি নয়। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? প্রকৃতির যে আইন, নিয়ম এগুলো নিজস্ব গতিতে চলে।
এর একটি দৃষ্টান্ত কোটা আন্দোলন এবং আরেকটি হলো শিক্ষার্থীদের হত্যার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন। এগুলো কী আমরা কখনও কল্পনা করতে পেরেছিলাম? আজকে এই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসবে এটা কি আমরা কখনও ভেবেছিলাম? এটাকেই বলে প্রকৃতির আইন।
তিনি বলেন, ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার যে নির্যাতন করেছে এটা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে। যতই নির্যাতন করুন শিক্ষার্থীদের মূল্য আপনাদেরকে দিতেই হবে।
‘নির্বাচনে অনিয়ম হতেই পারে’- প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের কড়া সমলোচনা করে মওদুদ বলেন, এই কথা বলার পর তার (নির্বাচন কমিশনার) পদে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অবিলম্বে আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। আজকে পত্রিকায় দেখলাম আরও চার জন নির্বাচন কমিশনার সিইসির বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন। এরপরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তার নিজের পদে থাকার অধিকার থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, আগামী দিনে বিএনপির আন্দোলন হবে এবং সেই আন্দোলন সফল হবে। বেগম জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
মওদুদ বলেন, শিক্ষার্থীর সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতারণা করেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যাবে? কি চেয়েছিল তারা অন্যায় কোন দাবি তো ছিল না, তাদের কিন্তু এখানেও একটা ফাঁকিবাজি ব্লাফ, যে প্রতারণা তারা (সরকার) করেছিল কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে।
তিনি বলেন, শহীদুল আলমের ওপর যে অত্যাচার অকল্পনীয়। সরকার একেবারে বেপরোয়া হয়ে গেছে। জনগণের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। সেজন্য সব শ্রেণির মানুষের ওপর এতো নির্যাতন।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, সাঈদ আহমেদ আসলাম, এম. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।