ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ আগস্টের রায় নিয়ে সংকট সৃষ্টি করা উচিৎ নয়: ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ
একুশে আগস্টের রায় নিয়ে নতুন সংকট সৃষ্টির পরিবর্তে সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে এর বিষময় পরিণতি সম্পর্কে পুনরায় ভাবার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি। অন্যায়ভাবে মিথ্যা অভিযোগে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়ে সরকার জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। এ ধরনের ঘটনায় পুনরাবৃত্তি জনগণের মধ্যে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি করবে যা কারো জন্যই প্রত্যাশিত নয়। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানকে দেশের স্বার্থে একান্ত প্রয়োজনীয় মনে করি। নতুন সংকট সৃষ্টির পরিবর্তে সরকারের উচিত বিদ্যমান সমস্যাদি সমাধানের উদ্যেশ্যে ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া।
সোমবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান,  ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ঘিরে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে আইনমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বশীল নেতারা সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তা কখনও কাম্য হতে পারে না। কেননা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচার চলাকালেও এমন হয়েছে এবং তার ফলাফল মামলার রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার গোটা বিষয়টিকে বিএনপিকে দমন ও দুর্বল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানোর বিষয়টি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দুরভিসন্ধিমূলক ছাড়া কিছু নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইন্টারপোল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রেড এলার্ট জারি করেছিল। পরবর্তীতে ইন্টারপোলের প্রধান কার্যালয় প্রয়োজনীয় তদন্ত করে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে তারেক রহমানের কোন সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পেয়ে গত ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ লিখিতভাবে সেই রেড এলার্ট প্রত্যাহার করে। রাজনৈতিক কারণে তারেক রহমানকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দেয়ার আওয়ামী ইচ্ছাপূরণ হয়নি- হবেও না ইনশাআল্লাহ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

২১ আগস্টের রায় নিয়ে সংকট সৃষ্টি করা উচিৎ নয়: ফখরুল

আপডেট সময় ০১:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
একুশে আগস্টের রায় নিয়ে নতুন সংকট সৃষ্টির পরিবর্তে সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে এর বিষময় পরিণতি সম্পর্কে পুনরায় ভাবার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি। অন্যায়ভাবে মিথ্যা অভিযোগে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়ে সরকার জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। এ ধরনের ঘটনায় পুনরাবৃত্তি জনগণের মধ্যে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি করবে যা কারো জন্যই প্রত্যাশিত নয়। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানকে দেশের স্বার্থে একান্ত প্রয়োজনীয় মনে করি। নতুন সংকট সৃষ্টির পরিবর্তে সরকারের উচিত বিদ্যমান সমস্যাদি সমাধানের উদ্যেশ্যে ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া।
সোমবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান,  ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ঘিরে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে আইনমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বশীল নেতারা সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তা কখনও কাম্য হতে পারে না। কেননা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচার চলাকালেও এমন হয়েছে এবং তার ফলাফল মামলার রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার গোটা বিষয়টিকে বিএনপিকে দমন ও দুর্বল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানোর বিষয়টি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দুরভিসন্ধিমূলক ছাড়া কিছু নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইন্টারপোল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রেড এলার্ট জারি করেছিল। পরবর্তীতে ইন্টারপোলের প্রধান কার্যালয় প্রয়োজনীয় তদন্ত করে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে তারেক রহমানের কোন সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পেয়ে গত ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ লিখিতভাবে সেই রেড এলার্ট প্রত্যাহার করে। রাজনৈতিক কারণে তারেক রহমানকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দেয়ার আওয়ামী ইচ্ছাপূরণ হয়নি- হবেও না ইনশাআল্লাহ।