ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতাসে ওড়নায় জড়ানো গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাসে ওড়নায় জড়ানো অবস্থায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ ওমান প্রবাসী মিঠুনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২১)। রবিবার রাত ৯টায় উপজেলার কালিপুর গ্রামে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে কালীপুর গ্রামের মুকবুল হোসেনের ছেলে মিঠুনের সঙ্গে একই গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে ফারজানা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিঠুন ওমানে চলে যায়। এ মাসের ৬ তারিখ ঈদ করার জন্য মিঠুন দেশে আসে এবং ফারজানাকে ওমান নিয়ে যাবে বলে শ্বশুর বাড়িতে ৫লাখ টাকা দাবি করে। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ স্বামীর সঙ্গে ফারজানার মনমালিন্য চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকালে ফারজানাকে অনেক মারধর করে তার স্বামী। খবর পেয়ে ফারজানার মা বকুল আক্তার তাকে নাইওর আনতে যান। কিন্তু মিঠুন তার শাশুড়িকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি রাত পর্যন্ত গড়ায়।
এ পর্যায়ে আশেপাশের লোকজন জানতে পারে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফারজানা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করলে রাতেই পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার দুপুরে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ফারজানা সকলের বড়। বাবা ফজর আলী ঢাকায় একটি গ্যারেজে মাসিক বেতনে কর্মরত। নিহত ফারজাহানার মামা আবু তাহের জানান, রাতে পরিকল্পিতভাবে ফারজানাকে মিঠুন হত্যা করে এবং তার লাশ ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মোঃ আব্দুর রহমান জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুরাদনগর সার্কেলসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে এবং তাদের বসতঘর তালাবদ্ধ আছে। এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না। তবে ফারজানার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফারজানার বাবা ফজর আলী বাদী হয়ে ৫জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

তিতাসে ওড়নায় জড়ানো গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাসে ওড়নায় জড়ানো অবস্থায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ ওমান প্রবাসী মিঠুনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২১)। রবিবার রাত ৯টায় উপজেলার কালিপুর গ্রামে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে কালীপুর গ্রামের মুকবুল হোসেনের ছেলে মিঠুনের সঙ্গে একই গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে ফারজানা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিঠুন ওমানে চলে যায়। এ মাসের ৬ তারিখ ঈদ করার জন্য মিঠুন দেশে আসে এবং ফারজানাকে ওমান নিয়ে যাবে বলে শ্বশুর বাড়িতে ৫লাখ টাকা দাবি করে। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ স্বামীর সঙ্গে ফারজানার মনমালিন্য চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকালে ফারজানাকে অনেক মারধর করে তার স্বামী। খবর পেয়ে ফারজানার মা বকুল আক্তার তাকে নাইওর আনতে যান। কিন্তু মিঠুন তার শাশুড়িকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি রাত পর্যন্ত গড়ায়।
এ পর্যায়ে আশেপাশের লোকজন জানতে পারে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ফারজানা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করলে রাতেই পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার দুপুরে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ফারজানা সকলের বড়। বাবা ফজর আলী ঢাকায় একটি গ্যারেজে মাসিক বেতনে কর্মরত। নিহত ফারজাহানার মামা আবু তাহের জানান, রাতে পরিকল্পিতভাবে ফারজানাকে মিঠুন হত্যা করে এবং তার লাশ ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মোঃ আব্দুর রহমান জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুরাদনগর সার্কেলসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে এবং তাদের বসতঘর তালাবদ্ধ আছে। এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না। তবে ফারজানার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফারজানার বাবা ফজর আলী বাদী হয়ে ৫জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।