মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার চাঁদা না দেওয়ায় বিয়ে বাড়ীতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বাড়ী-ঘর ভাঙ্গচুড় ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১২ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
শুক্রবার শ্রীকাইল ইউনিয়নের পেন্নই গ্রামের ব্যাপারী বাড়ীতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা বিয়ে বাড়ীর হামলা চালিয়ে লুটপাট চালায়।
আহতদের মধ্যে কুমেকে চিকিৎসাধিন হলেন, লালন ব্যাপারী(৫৫), লিল মিয়া(৬৫), রোকন ব্যাপারী(৫০) পিতা মৃত্যু আছাব উদ্দিন, মাহফুজ ব্যাপারী(৪০) পিতা অলেক ব্যাপারী, মতিন ভূইয়া(৪৫) পিতা আব: বারো ভূইয়া, হাসান(২০) লিল মিয়া, শাকিল(১৭) পিতা লালন ব্যাপারী, নূরুজ্জামান(৩০) পিতা রোকন ব্যাপারী, মাসুদ রানা(৩৫), জালাল ব্যাপারী(৪০), রিমন(১৭), জুয়েল রানা(২০), পলাশ(১৬), তাজুল ইসলাম(২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পেন্নই গ্রামের অলেক ব্যাপারীর বাড়ীতে তার ভাগ্নী বিয়ের অনুষ্ঠানে এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা শুক্রবার সকালে ব্যাপারী বাড়ীতে হামলা চালায়। যা প্রায় তিন ঘন্টা ব্যাপী তান্ডব চালায়। এতে ১০/১২টি বাড়ী-ঘর, আসবাবপত্রসহ ভাঙ্গচুড় ও নগদ অর্থ, স্বর্ন অলঙ্কার লুটপাট করে। পরে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসআই নূরে আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এবং পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠালে চিকিৎসকরা আহতদের মূহুর্ষ অবস্থা দেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরন করে।
অলেক ব্যাপরী অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়িতে ভাগ্নীর বিয়ের অনুষ্ঠানে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কুদ্দুস ফকিরের ছেলে মুমেন(৩৮), মনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার(৪০) ও হারেস মিয়া(৪৫) নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবী করে। সেই চাঁদার টাকা না দেওয়া আজ আমাদের ব্যাপারী বাড়ীতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুড়সহ লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনারস্থলে পুলিশ পরির্দশন করেছে। লিখিত ভাবে কেগ অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।