ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরে ভোটের মাঠে সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধি:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্লিন ইমেজ নিয়ে সরগরম করে রেখেছেন ভোটের মাঠ। পুরো এলাকায় এখন বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক পাওয়ার শতভাগ বিশ্বাসী হয়ে কোমর বেঁধে মাঠে আছেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু। গত নির্বাচনে মহাজোটকে (লাঙ্গল) এই আসনটি ছেড়ে দিলে, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস মার্কা) জয়লাভ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এবার লাঙ্গল নয়, নৌকা চায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু ক্লিন ইমেজ নিয়ে দলে তার ভাবমূর্তি যেমন অক্ষুণ্ন, তেমনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তার অতিমাত্রায় গ্রহণযোগ্যতা থাকায় এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

কেন আপনি মননোয়ন প্রত্যাশী? এমন প্রশ্নে, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ. লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু বলেন, বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ অনুসারী ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক আমার পিতা ব্যবসায়ী মরহুম সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুসের চার সন্তানের মধ্যে আমি সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু সকলের ছোট। গ্রামের বাড়ি উপজেলার পীর কাশিমপুর হলেও লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করি ঢাকা শহরে। বিএএফ শাহীনে হাইস্কুল জীবন পার করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েই তৎসময়ের ঢাকা নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সৈয়দ নুরু ভাইয়ের হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে গঠিত প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।
১৯৭৭ সালে ভারতীয় সরকার পরিবর্তনের ফলে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সকলকে বাংলাদেশ রাইফেলস’র কাছে হস্তান্তর করলে, এক বছর কারা ভোগের পর মুক্তি পাই। মুক্তির পর ওই সময়ের সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ও অপতৎপরতার কারণে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়ে জার্মানীতে পাড়ি জমাই। কর্মজীবনের পাশাপাশি জার্মান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে অনিল দাস গুপ্তের সঙ্গে সমন্বয় করে আ. লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে নিজ অর্থায়নে সক্রিয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করি।

১৯৯৮ সালে স্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে নিজ সংসদীয় আসন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরে স্থানীয় আ. লীগের রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক নানান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে ব্যস্ত রেখে, ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীর সর্বসম্মতিক্রমে আ. লীগের প্রার্থী মনোনীত হয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সাধারণ মানুষের পাশেই আছি। আগামী দিনগুলোতে মুরাদনগরবাসীর পাশে থেকেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

কেমন মুরাদনগর দেখতে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাইয়ুম খসরু বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন থাকা সত্ত্বেও সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত একটি আধুনিক উপজেলা হিসাবে আমি দেখতে চাই মুরাদনগর থানাকে। যাকে বাংলাদেশের অন্যান্য থানাগুলো মডেল হিসাবে নেবে।

আওয়ামী লীগের অন্তত বিশজন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘খসরু সাহেবের রয়েছে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন আওয়ামী লীগকে ঘিরে। তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সব মহলে প্রশংসিত। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর সৎ ও সহজ-সরল জীবনযাপন বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে ব্যতিক্রমী হিসাবেই সবার কাছে প্রতিষ্ঠিত।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরে ভোটের মাঠে সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু

আপডেট সময় ০৪:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৮
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধি:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্লিন ইমেজ নিয়ে সরগরম করে রেখেছেন ভোটের মাঠ। পুরো এলাকায় এখন বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক পাওয়ার শতভাগ বিশ্বাসী হয়ে কোমর বেঁধে মাঠে আছেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু। গত নির্বাচনে মহাজোটকে (লাঙ্গল) এই আসনটি ছেড়ে দিলে, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস মার্কা) জয়লাভ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এবার লাঙ্গল নয়, নৌকা চায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু ক্লিন ইমেজ নিয়ে দলে তার ভাবমূর্তি যেমন অক্ষুণ্ন, তেমনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তার অতিমাত্রায় গ্রহণযোগ্যতা থাকায় এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

কেন আপনি মননোয়ন প্রত্যাশী? এমন প্রশ্নে, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ. লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু বলেন, বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ অনুসারী ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক আমার পিতা ব্যবসায়ী মরহুম সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুসের চার সন্তানের মধ্যে আমি সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু সকলের ছোট। গ্রামের বাড়ি উপজেলার পীর কাশিমপুর হলেও লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করি ঢাকা শহরে। বিএএফ শাহীনে হাইস্কুল জীবন পার করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েই তৎসময়ের ঢাকা নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সৈয়দ নুরু ভাইয়ের হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে গঠিত প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।
১৯৭৭ সালে ভারতীয় সরকার পরিবর্তনের ফলে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সকলকে বাংলাদেশ রাইফেলস’র কাছে হস্তান্তর করলে, এক বছর কারা ভোগের পর মুক্তি পাই। মুক্তির পর ওই সময়ের সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ও অপতৎপরতার কারণে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়ে জার্মানীতে পাড়ি জমাই। কর্মজীবনের পাশাপাশি জার্মান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে অনিল দাস গুপ্তের সঙ্গে সমন্বয় করে আ. লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে নিজ অর্থায়নে সক্রিয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করি।

১৯৯৮ সালে স্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে নিজ সংসদীয় আসন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরে স্থানীয় আ. লীগের রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক নানান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে ব্যস্ত রেখে, ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীর সর্বসম্মতিক্রমে আ. লীগের প্রার্থী মনোনীত হয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সাধারণ মানুষের পাশেই আছি। আগামী দিনগুলোতে মুরাদনগরবাসীর পাশে থেকেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

কেমন মুরাদনগর দেখতে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাইয়ুম খসরু বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন থাকা সত্ত্বেও সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত একটি আধুনিক উপজেলা হিসাবে আমি দেখতে চাই মুরাদনগর থানাকে। যাকে বাংলাদেশের অন্যান্য থানাগুলো মডেল হিসাবে নেবে।

আওয়ামী লীগের অন্তত বিশজন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘খসরু সাহেবের রয়েছে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন আওয়ামী লীগকে ঘিরে। তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সব মহলে প্রশংসিত। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর সৎ ও সহজ-সরল জীবনযাপন বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে ব্যতিক্রমী হিসাবেই সবার কাছে প্রতিষ্ঠিত।