অন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেটের ভেতরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার ঘটনায় সৌদি নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিশ্ব নেতারা। এমনকি সৌদির মিত্ররাও বলেছেন, খাশোগি হত্যার বিষয়ে সৌদি আরবের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। বিবিসি।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল বলেছেন, খাশোগি বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের দেয়া ব্যাখ্যা পর্যাপ্ত নয়। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লে দ্রিয়ান বলেন, ‘অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘জগণ্য কাজ’ বলে বর্ণনা করেছে। পেছনে জড়িত সবাইকে বিচারেরও দাবি জানায় দেশটি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ খাশোগি হত্যার গ্রহণযোগ্য তদন্তের দাবি জানিয়েছে। চলতি রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব।
খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় শুক্রবার সৌদি জানায়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল কসন্যুলেটেই সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির দাবি, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান আহমদ আল আসিরি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অন্যতম দেহরক্ষি সৌদ আল কাতানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮ জনকে।
তুর্কি বান্ধবীর সাথে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
শুরু থেকেই তুরস্ক দাবি করেছিল খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার দিন সৌদি গোয়েন্দাদের ১৫ সদস্যের একটি দল রিয়াদ থেকে ইস্তাম্বুল আসে। কনস্যুলেটের ভেতরে ঢুকে তারাই খাশোগিকে খুন করে। এরপর তার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করা হয়। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল কাজ শেষে কনস্যুলেট ত্যাগ করেন খাশোগি। দুই সপ্তাহে মাথায় আগের দাবি থেকে সরে এসে কনস্যুলেটেই খাশোগি খুন হন বলে স্বীকার করে সৌদি আরব।
খাশোগি দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সৌদি রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচক ছিলেন তিনি।