কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় গত ২৯৫ দিনে ২৪২ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার ২৪২ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে ২৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৫ জন, মার্চে ২৯ জন, এপ্রিলে ৩১ জন, মে মাসে ২০ জন, জুনে ২০ জন, জুলাইয়ে ২৩ জন, আগস্টে ২৬ জন, সেপ্টেম্বরে ৩২ জন ও অক্টোবরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ১৭ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. শারমিন সুলতানা জানান, ধর্ষণের শিকার বেশির ভাগ নারীর বয়স ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তাদের বেশির ভাগ প্রেমিকের হাতে ধর্ষিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সমাজসেবক অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরী জানান, ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে নারীদের আত্মরক্ষার কৌশলও রপ্ত করতে হবে। পাশাপাশি আদালতে ধর্ষণসংক্রান্ত মামলাগুলোর দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনতে হবে। ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে ধর্ষণ প্রবণতা কমে আসবে।
এদিকে কুমিল্লায় আত্মহত্যার ঘটনাও বেড়েছে। মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ সূত্র আরো জানায়, গত ১০ মাসে নানা কারণে ৩৩২ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে ১৩৮ জন ও বিষপানে ১৯৪ জন মারা গেছে। জানুয়ারিতে ৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৬৩ জন, মার্চে ৬৬ জন, এপ্রিলে ৬৪ জন, মে মাসে ৭৯ জন, জুনে ৭০ জন, জুলাইয়ে ৭২ জন, আগস্টে ৭২ জন, সেপ্টেম্বরে ৬২ জন ও অক্টোবরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ৪৯ জন আত্মহননকারীর ময়নাতদন্ত করা হয়। একই সময়ে কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে ৩৭ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জন মাদক কারবারে জড়িত বলে অভিযোগ ছিল। তা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, রেল দুর্ঘটনায় ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় মারা গেছে ২৪৮ জন। সব মিলিয়ে জেলায় গত ১০ মাসে ৬৫৮ জন নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফরেনসিক বিভাগ।