মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
রোজ মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টম্বর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের পীরকাশিমপুর গ্রামের কৃষক মিন্টু মিয়াকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামিরা এলাকায় প্রকাশে চলাফেরা করে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি এবং ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে এলাকার সর্বস্তরের লোকদের মধ্যে বিরুপ প্রত্রিকৃয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি করে পুলিশের সম্মান হানী হচ্ছে। আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বাদী পক্ষের পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, উপজেলার পীর কাশিমপুর গ্রামের মৃত তারু মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রন্ত বিষয়নিয়ে নিয়ে পাশের বাড়ির মৃত বজলুর রহমান (সুনতা মিয়ার) ছেলে মোসলেম উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধান করার চেষ্টা করলেও মোসলেম উদ্দিন বিচার না মানায় ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে প্রতিপক্ষরা মিন্টু মিয়ার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাকে ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালায়। গত ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বসত ঘরের পিছনে কাজ করতে গেলে মোসলেম উদ্দিন মিন্টু মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তার উপর হামলা চালিয়ে মাথায় দা দিয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে আহত করে। তখন তার চিৎকার শুনে ছেলে সাইদুল মিয়া ও ভাতিজা দুলাল মিয়া এগিয়ে গেলে মোসলেম উদ্দিন ও তার সহযোগি সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরতর আহত করে। পরে এলাকার লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মিন্টু মিয়া ও সাইদুল মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেকে) প্রেরন করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীরের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) স্থানাতরলে গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর রাত ৪টা দিকে মিন্টু মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ২ সেপ্টম্বর বুধবার নিহতের ভাতিজা কামরুল হাসান বাদী হয়ে একই গ্রামের বজলুর রহমান (সুনতা মিয়ার) ছেলে মোসলেম উদ্দিন, আব্দুল মোনাফ, আব্দুল মোতালিব, মোসলেম মিয়ার ছেলে শামসুল হক, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল মোনাফের ছেলে সাইদুল ইসলাম (সুজন), সুমন মিয়া, আব্দুল মোতালিবের ছেলে জুয়েল রানার নাম সহ ৬জনের নাম উল্লোখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহতের স্ত্রী জোৎসনা বেগম অবিলম্বে তার স্বামী মিন্টু মিয়া হত্যাকারীদের গ্রেতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আসামিরা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার ৮ দিন পার হলেও পুলিশ কোন আসামীকে আটক করতে না পরায়, আসামিরা এলাকায় প্রকাশে চলাফেরা করে বাদী পক্ষদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এলাকার সর্বস্তরের লোকদের মধ্যে বিরুপ প্রত্রিকৃয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি করে পুলিশের সম্মান হানী হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। পূর্বেও মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহন করা হবে।