খেলাধূলা ডেস্কঃ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা তুলনামূলক কঠিন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কারণ ২৮৭ রানের লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল। কিন্তু ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার সেই লক্ষ্যটাকে একেবারে মামুলি বানিয়ে দেন। দু’জনই করেছেন সেঞ্চুরি। সেই সুবাদে মাত্র ৪২.১ ওভারে তিন উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই দিতে সক্ষম হলো মাশরাফি বাহিনী।
বেশ বড় লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামার পর মাত্র শূন্য রানে লিটন দাস আউট হলে অনেকের কপালেই চিন্তার ভাজ পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা দীর্ঘক্ষণ থাকেনি। ইমরুল-সৌম্য দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের (২২০ রান) জুটি গড়ে জয়টাকে নিয়ে আসেন হাতের নাগলে। টানা আট ম্যাচে ব্যর্থতার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে দলেই জায়গা পাননি সৌম্য। পরে অভিষিক্ত ফজলে রাব্বির ব্যর্থতার সুবাদে তৃতীয় ম্যাচে একাদশে আসেন তিনি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তোলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৯২ বল থেকে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার মারে সৌম্য করেছেন ১১৭ রান।
দলীয় ২২০ রানে সৌম্য আউট হওয়ার পরও মাঠে ছিলেন ইমরুল। সৌম্যর পর সেঞ্চুরি করেন ইমরুলও। এ সময় তখন সঙ্গী হন মুশফিক। জয় থেকে দল যখন মাত্র ১৩ রান দূরে তখন ইমরুলও আউট হন। তার আগেই ১১২ বল থেকে ১০টি চার ও দুটি ছক্কার মারে তিনি করেন ১১৪ রান। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে দুই সেঞ্চুরিসহ ইমরুলের রান দাঁড়ায় ৩৪৮। এর আগে তামিমের করা এক সিরিজে ৩১২ রানের রেকর্ডও এর মাধ্যমে ভাঙতে সক্ষম হন তিনি।
ইমরুল আউট হওয়ার পর মুশফিক-মিঠুন জুটি বাকি কাজটা করতে সক্ষম হন। মুশফিক ২৮ ও মিঠুন ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের শুক্রবার দুপুরে শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় জিম্বাবুয়েকে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান করে তারা। ১৪৩ বল থেকে ১০টি চার ও একটি ছক্কার মারে ক্যারিয়ার সেরা ১২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামস। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
ধবলধোলাই থেকে বাঁচার মিশনে মাঠে নেমে মাত্র ৬ রানে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার কেপাস জুয়াও ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও আবু হায়দার রনি। এরপর জুটি বাঁধা ব্রেন্ডন টেলর ও শিন উইলিয়ামস। এ দু’জনই ভোগাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। টেলরকে আউট করে ১৩২ রানের জুটি ভাঙেন নাজমুল ইসলাম অপু। আউট হওয়ার আগে ৭২ বল থেকে ৮টি চার ও তিনটি ছক্কার মারে টেলর করেন ৭৫ রান।
এতেও থামানো যাচ্ছিল না জিম্বাবুয়েকে। সিকান্দার রাজাকে সঙ্গে নিয়ে একই গতিতে এগোতে থাকেন উইলিয়ামস। তবে ৪৩তম ওভারে এসে রাজাকে ফেরান সেই অপু। ৯০ রানের জুটি ভেঙে আউট হওয়ার আগে রাজা করেছেন ৪০ রান। আর ১২৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামস। পিটার মুর শেষ দিকে ২১ বলে দুই ছক্কায় ২৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে যান। শেষ দুই ওভারে আবু হায়দার রনি ও সাইফ উদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে তিনশ এর নীচেই বেঁধে রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।