মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
রোজ মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টম্বর ২০১৫ইং (মুরাদনগ বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর-নহলচৌমহনী সড়কের সিদ্বেশ্বরী এলাকায় আমেরিকা প্রবাসী ফয়সাল কতৃক আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিবেশিদের ও সরকারী জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদকারীদের ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা চাদাঁবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সরকারী জমি দখল করে ইমারত নির্মানের বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক(রাজস্ব), জেলা পুলিশ সুপার,সহকারী পুলিশ সুপার কুমিল্লা-বি সার্কেল(মুরাদনগর), উপজেলা নিবাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) কে লিখিত ভাবে অবহিত করার পরেও সংশ্লিস্ট কতৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিদ্বেশ্বরী গ্রামের আ: গনি মিয়ার আমেরিকা প্রবাসী পুত্র ফয়সালের পক্ষে তার চাচাত ভাই আবদুর রশিদের পুত্র জামাল প্রতিবেশী ও সরকারী জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মান শুরু করেন। এমতাঅবস্থায় একই গ্রামের আলী নেওয়াজ সরকারের পুত্র আশরাফুল আলম সরকার নির্মানাধীন বহুতল ভবনে তার জমি রয়েছে মর্মে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেডের আদালতে এক অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে শান্তি-শৃংখলা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ প্রধান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এস আই মাহফুজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলা নিস্পত্ত্বি না হওয়া পর্যন্ত নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। আদালত এবং স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধজ্ঞার পরেও আমেরিকা প্রবাসী ফয়সালের পক্ষে তার চাচাত ভাই আবদুর রশিদের পুত্র মো: জামাল বহুতল ভবনটির নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেশী আশরাফুল আলম সরকার বলেন, জোর জুলুম করে জামাল আমাদের জমির উপর ইমারত নির্মান করছে। আদলতের নির্দেশও মানছে না। বর্তমান ইউপি সদস্য শাহআলমের উপস্থিতে জামাল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং নির্মানাধীন ভবনের আশে পাশে দেখলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি আরো বলেন, আমি সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ওই পরিবারের পক্ষে আব্দুর রশিদের পুত্র মনির হোসেন বাদী হয়ে আদালতে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিথ্যা চাদাঁবাজির একটি মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে এলাহী ওলী জানান, আমি নতুন এসেছি, বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবহিত নই। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।