মো: দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রোজ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টম্বর ২০১৫ইং।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বড়ইরাকুড়ি গ্রামে বুধবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ী মোস্তাক আহম্মেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এ সময় সন্ত্রাসী হামলায় চার জন আহত হয়।
আহতরা হলেন, মোস্তাক আহম্মেদের দু’ছেলে ওয়াসিম, শাহিন, মৃত আ: বাকের মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন ও শাহজালাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়ইরাকুড়ি গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদ ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এরই সূত্রধরে গত বুধবার রাতে মোস্তাক আহম্মেদের দু’ছেলে ওয়াসিম ও শাহিন বাড়ী যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাম দা, ছুরি, লাঠি, লোহার রড নিয়ে বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন(৪০), মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ন(৫০), আ: রহমানের ছেলে রাকিব(২৭), নায়েব আলীর ছেলে মাইনুউদ্দিন(২৫),মৃত কনু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম ও ফখরুলসহ আগের থেকে উৎপেতে থাকা ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাদের উপড় হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, পরে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে মুরাদগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান, চিকিৎসারত অবস্থায় থাকাকালীন সময় রাত ৯টার দিকে বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের মৃত ছোবান মিয়ার ছেলে মঙ্গল মিয়া(৪২) ও তার ছেলে সাগর(২০) এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাসপাতলে এসে তাদের কে পূনরায় মারধর করে।
মোস্তাক আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়গুলো রাতেই এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গদের অবহিত করার পর গিয়াস উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে রাত ১১টার দিকে ১৮/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী রাম দা, ছুরি, লাঠি লোহার রড নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় মৃত আ:বারেকের ছেলে আলাউদ্দিন ও শাহজালালকে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার (ওসি) মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।