ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুবর্ণচরের ধর্ষিতাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে ধর্ষিতা নারীকে দেখতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। আর তাকে কাঁদতে দেখে কেঁদেছেন অন্যরাও।

ভুক্তভোগী নারীকে দেখতে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে রওয়ানা হন ফখরুল এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। নোয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীর কাছে তারা পৌঁছেন দুপুরে।
এ সময় বিএনপি নেতা ভুক্তভোগী নারীর মাথায় হাত বুলিয়ে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘বোন আমরা তোমার পাশে আছি। তোমার কোনো ভয় নেই। এই নিমর্মতার অবশ্যই একদিন বিচার হবে। আল্লাহর বিচার করবেন।’
এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপি মহাসচিব। কাঁদতে থাকেন ওই নারীও। তার এই অবস্থায় বিএনপি মহাসচিবকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে উঠেন তার স্বামী।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন চার সন্তানের জননী। ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় তাকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারটির পক্ষ থেকে। ডাক্তারি পরীক্ষায় এরই মধ্যে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।

 

এই ঘটনায় নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এদের মধ্যে চার জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী রুহুল আমিন এবং তার দুই সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার ষষ্ঠ দিনের মাথায় ভুক্তভোগীকে দেখতে গিয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন জেএসডি নেতা আসম আবদুর রব ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকীও। পরে বিএনপি মহাসচিব এবং অন্য দুই জন তাকে আর্থিক অনুদানও দেন।

পরে  মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা যারা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
‘এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহু নেতাকর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। নির্বাচনের আগে ও পরে যে ধরনের নৃশংসতা হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। নোয়াখালীর এই ঘটনায় রাজনীতিতে একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি হলো, বাংলাদেশ অন্ধকার যুগে প্রবেশ করলো এবং বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিহীন হলো।

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দেন ফখরুল। বলেন, ‘এর বিচারের ভার জনগণের কাছে দিলাম। এর পিছনে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে এজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বিএনপি মহাসচিব জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নিয়ে নোয়াখালী রওয়ানা হন। কুমিল্লায় ৪৫ মিনিট যাত্রাবিরতির পর বেলা সাড়ে ১২টায় বিএনপি মহাসচিব নেতাদের নিয়ে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছান।
এ সময়ে নোয়াখালীর মাইজদী সড়ক থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা দুই ধারে দাঁড়িয়ে বিএনপি মহাসচিবসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে চলে গোমতী নদীর মাটি কাটার মহোৎসব, নির্বিকার প্রশাসন

সুবর্ণচরের ধর্ষিতাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফখরুল

আপডেট সময় ০২:২৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে ধর্ষিতা নারীকে দেখতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। আর তাকে কাঁদতে দেখে কেঁদেছেন অন্যরাও।

ভুক্তভোগী নারীকে দেখতে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে রওয়ানা হন ফখরুল এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। নোয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীর কাছে তারা পৌঁছেন দুপুরে।
এ সময় বিএনপি নেতা ভুক্তভোগী নারীর মাথায় হাত বুলিয়ে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘বোন আমরা তোমার পাশে আছি। তোমার কোনো ভয় নেই। এই নিমর্মতার অবশ্যই একদিন বিচার হবে। আল্লাহর বিচার করবেন।’
এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপি মহাসচিব। কাঁদতে থাকেন ওই নারীও। তার এই অবস্থায় বিএনপি মহাসচিবকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে উঠেন তার স্বামী।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন চার সন্তানের জননী। ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় তাকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারটির পক্ষ থেকে। ডাক্তারি পরীক্ষায় এরই মধ্যে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।

 

এই ঘটনায় নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এদের মধ্যে চার জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী রুহুল আমিন এবং তার দুই সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার ষষ্ঠ দিনের মাথায় ভুক্তভোগীকে দেখতে গিয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন জেএসডি নেতা আসম আবদুর রব ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকীও। পরে বিএনপি মহাসচিব এবং অন্য দুই জন তাকে আর্থিক অনুদানও দেন।

পরে  মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা যারা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
‘এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহু নেতাকর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। নির্বাচনের আগে ও পরে যে ধরনের নৃশংসতা হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। নোয়াখালীর এই ঘটনায় রাজনীতিতে একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি হলো, বাংলাদেশ অন্ধকার যুগে প্রবেশ করলো এবং বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিহীন হলো।

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দেন ফখরুল। বলেন, ‘এর বিচারের ভার জনগণের কাছে দিলাম। এর পিছনে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে এজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বিএনপি মহাসচিব জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নিয়ে নোয়াখালী রওয়ানা হন। কুমিল্লায় ৪৫ মিনিট যাত্রাবিরতির পর বেলা সাড়ে ১২টায় বিএনপি মহাসচিব নেতাদের নিয়ে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছান।
এ সময়ে নোয়াখালীর মাইজদী সড়ক থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা দুই ধারে দাঁড়িয়ে বিএনপি মহাসচিবসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়।