ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামিমের বিধ্বংসী ইনিংসে কুমিল্লার জয়

খেলাধূলা ডেস্কঃ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের বিধ্বংসী ইনিংসে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খুলনা টাইটান্সকে তিন উইকেটে হারিয়েছে তারা। ছয় ম্যাচ খেলে কুমিল্লার এটি চতুর্থ জয়। আট পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, ছয় ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে অবস্থান করছে খুলনা টাইটান্স।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে খুলনা টাইটান্সের দেয়া ১৮২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে সাত উইকেটে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। দলের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪২ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রানের তুখোড় ইনিংস খেলেন তিনি। ৪০ রান করেন এনামুল হক বিজয়। ১১ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান করেন ইমরুল। সাত বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন থিসারা পেরেরা। খুলনা টাইটান্সের জুনায়েদ খান চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ ১টি ও লাসিথ মালিঙ্গা ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকে। তামিম-বিজয় জুটিতে চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে দ্রুত রান তুলতে থাকে তারা। ওপেনিংয়ে ১১৫ রানের জুটি গড়েন তামিম-বিজয়। ১৩তম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচ হন তামিম।

বিজয়ও এর পরপরই ফিরে যান। ১৪তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে তিনি শান্তর হাতে ধরা পড়েন। ১৫তম ওভারে রান আউট হন শামসুর রহমান। ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ডসন ও ইমরুলকে ফেরান জুনায়েদ খান। ওভারের দ্বিতীয় বলে শান্তর হাতে ধরা পড়েন ডসন। তৃতীয় বলে মালিঙ্গার হাতে ধরা পড়েন ইমরুল।

১৯তম ওভারেও দুইটি উইকেট শিকার করেন জুনায়েদ খান। ওভারের তৃতীয় বলে আফ্রিদির ক্যাচটি নেন মহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ বলে জিয়াউর রহমানের ক্যাচটি নেন আল-আমিন। এরপর থিসারা পেরেরা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স। দলের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক। ৪১ বলে চারটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন আল-আমিন। কুমিল্লার বোলারদের মধ্য শহীদ আফ্রিদি ৩টি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি, ওয়াহাব রিয়াজ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায়। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙে তাদের। ওভারের চতুর্থ বলে জহুরুল ইসলামকে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। তিন বলে শূন্য রান করেন জহুরুল। এরপর ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন জুনায়েদ সিদ্দিক ও আল-আমিন। অষ্টম ওভারে আফ্রিদির বলে বোল্ড হন আল-আমিন। ১৯ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান করেন তিনি।

এরপর জুনায়েদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দশম ওভারে আফ্রিদির বলে রিয়াদ বোল্ড হয়ে যান। ৯ বলে দুই ছক্কার সাহায্যে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর ৫১ রানের জুটি গড়েন জুনায়েদ ও ডেভিড মালান। ১৬তম ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে যান জুনায়েদ।

১৭তম ওভারে আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন মালান। কার্লোস ব্র্যাথওয়েটও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৯ বলে ১২ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। ১৮তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে মেহেদী হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আরিফুল হককে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: তিন উইকেটে জয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

খুলনা টাইটান্স ইনিংস: ১৮১/৭ (২০ ওভার)

(জহুরুল ইসলাম ০, জুনায়েদ সিদ্দিক ৭০, আল-আমিন ৩২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৬, ডেভিড মালান ২৯, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ১২, আরিফুল হক ১৩, নাজমুল হোসেন শান্ত ১*; মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১/২৯, মেহেদী হাসান ০/৩৮, থিসারা পেরেরা ০/২০, ওয়াহাব রিয়াজ ২/৩৪, লিয়াম ডসন ০/৮, শহীদ আফ্রিদি ৩/৩৫, শামসুর রহমান ০/১৪)।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইনিংস: ১৮৬/৭ (১৯.৪ ওভার)

(তামিম ইকবাল ৭৩, এনামুল হক বিজয় ৪০, ইমরুল কায়েস ২৮, শামসুর রহমান ১, লিয়াম ডসন ৪, থিসারা পেরেরা ১৮*, শহীদ আফ্রিদি ১২, জিয়াউর রহমান ০, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১*; লাসিথ মালিঙ্গা ১/২২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১/৩৬, জুনায়েদ খান ৪/৩২, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ০/৫০, তাইজুল ইসলাম ০/১৭, আরিফুল হক ০/১৩, আল-আমিন ০/১৬)।

ম্যাচ সেরা: তামিম ইকবাল (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

তামিমের বিধ্বংসী ইনিংসে কুমিল্লার জয়

আপডেট সময় ০১:১৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯
খেলাধূলা ডেস্কঃ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের বিধ্বংসী ইনিংসে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খুলনা টাইটান্সকে তিন উইকেটে হারিয়েছে তারা। ছয় ম্যাচ খেলে কুমিল্লার এটি চতুর্থ জয়। আট পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, ছয় ম্যাচ খেলে দুই পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে অবস্থান করছে খুলনা টাইটান্স।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে খুলনা টাইটান্সের দেয়া ১৮২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে সাত উইকেটে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। দলের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪২ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রানের তুখোড় ইনিংস খেলেন তিনি। ৪০ রান করেন এনামুল হক বিজয়। ১১ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান করেন ইমরুল। সাত বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন থিসারা পেরেরা। খুলনা টাইটান্সের জুনায়েদ খান চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ ১টি ও লাসিথ মালিঙ্গা ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকে। তামিম-বিজয় জুটিতে চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে দ্রুত রান তুলতে থাকে তারা। ওপেনিংয়ে ১১৫ রানের জুটি গড়েন তামিম-বিজয়। ১৩তম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচ হন তামিম।

বিজয়ও এর পরপরই ফিরে যান। ১৪তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে তিনি শান্তর হাতে ধরা পড়েন। ১৫তম ওভারে রান আউট হন শামসুর রহমান। ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ডসন ও ইমরুলকে ফেরান জুনায়েদ খান। ওভারের দ্বিতীয় বলে শান্তর হাতে ধরা পড়েন ডসন। তৃতীয় বলে মালিঙ্গার হাতে ধরা পড়েন ইমরুল।

১৯তম ওভারেও দুইটি উইকেট শিকার করেন জুনায়েদ খান। ওভারের তৃতীয় বলে আফ্রিদির ক্যাচটি নেন মহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ বলে জিয়াউর রহমানের ক্যাচটি নেন আল-আমিন। এরপর থিসারা পেরেরা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স। দলের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক। ৪১ বলে চারটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন আল-আমিন। কুমিল্লার বোলারদের মধ্য শহীদ আফ্রিদি ৩টি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি, ওয়াহাব রিয়াজ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায়। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙে তাদের। ওভারের চতুর্থ বলে জহুরুল ইসলামকে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। তিন বলে শূন্য রান করেন জহুরুল। এরপর ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন জুনায়েদ সিদ্দিক ও আল-আমিন। অষ্টম ওভারে আফ্রিদির বলে বোল্ড হন আল-আমিন। ১৯ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান করেন তিনি।

এরপর জুনায়েদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দশম ওভারে আফ্রিদির বলে রিয়াদ বোল্ড হয়ে যান। ৯ বলে দুই ছক্কার সাহায্যে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর ৫১ রানের জুটি গড়েন জুনায়েদ ও ডেভিড মালান। ১৬তম ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে যান জুনায়েদ।

১৭তম ওভারে আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন মালান। কার্লোস ব্র্যাথওয়েটও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৯ বলে ১২ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। ১৮তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে মেহেদী হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আরিফুল হককে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: তিন উইকেটে জয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

খুলনা টাইটান্স ইনিংস: ১৮১/৭ (২০ ওভার)

(জহুরুল ইসলাম ০, জুনায়েদ সিদ্দিক ৭০, আল-আমিন ৩২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৬, ডেভিড মালান ২৯, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ১২, আরিফুল হক ১৩, নাজমুল হোসেন শান্ত ১*; মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১/২৯, মেহেদী হাসান ০/৩৮, থিসারা পেরেরা ০/২০, ওয়াহাব রিয়াজ ২/৩৪, লিয়াম ডসন ০/৮, শহীদ আফ্রিদি ৩/৩৫, শামসুর রহমান ০/১৪)।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইনিংস: ১৮৬/৭ (১৯.৪ ওভার)

(তামিম ইকবাল ৭৩, এনামুল হক বিজয় ৪০, ইমরুল কায়েস ২৮, শামসুর রহমান ১, লিয়াম ডসন ৪, থিসারা পেরেরা ১৮*, শহীদ আফ্রিদি ১২, জিয়াউর রহমান ০, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১*; লাসিথ মালিঙ্গা ১/২২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১/৩৬, জুনায়েদ খান ৪/৩২, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ০/৫০, তাইজুল ইসলাম ০/১৭, আরিফুল হক ০/১৩, আল-আমিন ০/১৬)।

ম্যাচ সেরা: তামিম ইকবাল (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।