খেলাধূলা ডেস্কঃ
প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি দেখল এবারের বিপিএল। সেঞ্চুরিটি করলেন রাজশাহী কিংসের বিদেশি তারকা লরি ইভান্স। ৬২ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সঙ্গে রায়ান টেন ডেসকাটও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। ৪১ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাদের দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে দারুণ জয় পেয়েছে রাজশাহী। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৩৮ রানে জয় পায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সাত ম্যাচ খেলে রাজশাহীর এটি চতুর্থ জয়। আর সাত ম্যাচ খেলে কুমিল্লার এটি তৃতীয় হার।
কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৭ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ষষ্ঠ ওভারে রাব্বীর বলে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন ওপেনার তামিম ইকবাল। দশম ওভারে দলীয় ৬৭ রানে ডেসকাটের বলে নাফিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অপর ওপেনার বিজয়। ১১তম ওভারে শামসুর রহমানকে ফেরান আরাফাত সানি। ক্যাচটি নেন সেকুগে প্রসন্ন। এর পরের ওভারে জিয়াউর রহমানকে ফেরান ডেসকাট।
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ইমরুল কায়েসকে ও ষষ্ঠ বলে থিসারা পেরেরাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান কায়েস আহমেদ। ১৮তম ওভারে তিন উইকেট শিকার করেন রাব্বী। ওভারের প্রথম বলে শহীদ আফ্রিদি, তৃতীয় বলে লিয়াম ডসন ও চতুর্থ বলে সাইফউদ্দিনকে ফেরান তিনি। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে শেষ উইকেটটি নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী কিংস। দলের পক্ষে সেঞ্চুরি করেন লরি ইভান্স। ৬২ বলে ৯টি চার ও ছয়টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ইংল্যান্ডের ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। বিপিএলে এবারের আসরে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। আর সবমিলিয়ে ১৩তম। আর ৪১ বলে দুইটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রায়ান টেন ডেসকাট। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে লিয়াম ডসন ২টি ও মেহেদী হাসান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে থাকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় তারা। মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হন শাহরিয়ার নাফিস। সাত বল খেলে পাঁচ রান করেন তিনি। চতুর্থ ওভারে ডসনের বলে ইমরুলের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক মিরাজ। তিন বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। সপ্তম ওভারে দলীয় ২৮ রানে মার্শাল আইয়ুবকে বোল্ড করেন ডসন।
এরপর ইভান্সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেসকাট। দশ ওভার শেষে রাজশাহীর রান ছিল তিন উইকেটে ৫০। সেখান থেকে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন ইভান্স-ডেসকাট। শেষ দশ ওভার থেকে আসে ১২৬ রান। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডেসকাট। আর দ্বিতীয় বলে সেঞ্চুরি হয় ইভান্সের। ৬১ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ম্যাচ সেরা হন সেঞ্চুরিয়ান লরি ইভান্স।