ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট দেয়ার কথা ভাবছে সরকার

জাতীয় ডেস্কঃ

আবাসন সংকট নিরসনে সরকার সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট দেয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এছাড়া সাংবাদিকদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এই কথা জানান।
সংবাদকর্মীদের ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের জন্য সরকারের দেয়া ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, টেলিভিশনের সাংবাদিকদের জন্য একটা বেতন কাঠামো থাকা প্রয়োজন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জীবন যুদ্ধক্ষেত্রের মতোই। যুদ্ধক্ষেত্রে পাশের সহযোদ্ধা প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেলে, তার দিকে একনজর তাকিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়। অসম্ভবকে সম্ভব করা মানুষই সফল মানুষ। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সামনে এগুতে হয়। মন্ত্রণালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনাদের ( সাংবাদিকদের) সহযোগিতা চাই।’

তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি মাঠের মানুষ। আমি যখন কলেজে পড়ি তখন আওয়ামী লীগের জনসভা হলে সেই জনসভার মাইকিং করতাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে দলের মাইকটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সরকারের মাইকটি আমার হাতে ধরে দিয়েছেন। আমার সেই ছোট বেলার মাইকিং এখনো করছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত। মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে গেছে। আমরা এখন এমন এক জায়গায় গিয়েছি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন আমরা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে কেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ স্বীকার করুক আর না করুক দেশ কিন্তু বদলে গেছে। বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে ধরে রাখতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসা করে মানুষ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীরা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করেন।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দলটি সরকারের কোনো কাজের প্রশংসা করে না। সব কাজে সমালোচনা করে। এটা দেশকে পিছিয়ে দেয়। দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ হরতাল যে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে তা গণমাধ্যমের কারণে সম্ভব হয়েছে।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধে আপনাদের ভূমিকা আছে। আমি আমার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সাংবাদিক ভাই-বোনদের পরামর্শ নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভার কমিটির বিষয়ে উত্থাপন করেছি। সাত সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ কমিটি পাস হয়েছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে চলে গোমতী নদীর মাটি কাটার মহোৎসব, নির্বিকার প্রশাসন

সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট দেয়ার কথা ভাবছে সরকার

আপডেট সময় ০১:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

আবাসন সংকট নিরসনে সরকার সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট দেয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এছাড়া সাংবাদিকদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এই কথা জানান।
সংবাদকর্মীদের ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের জন্য সরকারের দেয়া ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, টেলিভিশনের সাংবাদিকদের জন্য একটা বেতন কাঠামো থাকা প্রয়োজন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জীবন যুদ্ধক্ষেত্রের মতোই। যুদ্ধক্ষেত্রে পাশের সহযোদ্ধা প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেলে, তার দিকে একনজর তাকিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়। অসম্ভবকে সম্ভব করা মানুষই সফল মানুষ। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সামনে এগুতে হয়। মন্ত্রণালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনাদের ( সাংবাদিকদের) সহযোগিতা চাই।’

তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি মাঠের মানুষ। আমি যখন কলেজে পড়ি তখন আওয়ামী লীগের জনসভা হলে সেই জনসভার মাইকিং করতাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে দলের মাইকটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সরকারের মাইকটি আমার হাতে ধরে দিয়েছেন। আমার সেই ছোট বেলার মাইকিং এখনো করছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত। মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে গেছে। আমরা এখন এমন এক জায়গায় গিয়েছি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন আমরা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে কেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ স্বীকার করুক আর না করুক দেশ কিন্তু বদলে গেছে। বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে ধরে রাখতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসা করে মানুষ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীরা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করেন।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দলটি সরকারের কোনো কাজের প্রশংসা করে না। সব কাজে সমালোচনা করে। এটা দেশকে পিছিয়ে দেয়। দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ হরতাল যে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে তা গণমাধ্যমের কারণে সম্ভব হয়েছে।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধে আপনাদের ভূমিকা আছে। আমি আমার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সাংবাদিক ভাই-বোনদের পরামর্শ নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভার কমিটির বিষয়ে উত্থাপন করেছি। সাত সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ কমিটি পাস হয়েছে।’