ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় জয়ে আশা বাঁচাল সিলেট

খেলাধূলা ডেস্কঃ

রাজশাহী কিংসকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার দৌঁড়ে টিকে থাকল সিলেট সিক্সার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে ৭৬ রানে হারিয়েছে অলক কাপালির দল। লিগ পর্বে সিলেটের আর তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। শেষ চারে খেলতে হলে সিলেটের এই তিন ম্যাচে জিততে হবে। সেই সাথে মেলাতে হবে অন্যান্য সমীকরণ। ৯ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সিলেট এখন ষষ্ঠ অবস্থানে আছে। অন্যদিকে, রাজশাহী এই ম্যাচে হারলেও তাদের প্লে-অফে খেলার আশা টিকে আছে। ৯ ম্যাচ খেলে আট পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা এখন আছে পঞ্চম অবস্থানে। লিগ পর্বে রাজশাহীরও তিনটি ম্যাচ বাকি আছে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেট সিক্সার্সের দেয়া ১৮১ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয় রাজশাহী কিংস। দলের পক্ষে হাফসেঞ্চুরি করেন ফজলে মাহমুদ। ৪১ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৫০ রান করেন তিনি। সিলেটের বোলারদের মধ্যে সোহেল তানভীর চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ২টি, মোহাম্মদ নওয়াজ ৩টি ও অলক কাপালি ২টি করে উইকেট নেন।

রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে চাপে থাকে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান ওপেনার লরি ইভান্স। সোহেল তানভীরের বলে নওয়াজের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৫ বল ১ রান করেন ইভান্স। তৃতীয় ওভারে তাসকিনের বলে সোহেল তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অপর ওপেনার মুমিনুল হক। ৮ বলে ৫ রান করেন তিনি।

অষ্টম ওভারে ডেসকাটকে বোল্ড করেন অধিনায়ক অলক কাপালি। ১২ বল খেলে ১২ রান করেন ডেসকাট। ১৪তম ওভারে তাসকিনকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রয়ের হাতে ক্যাচ হন জাকির। ১৭ বলে ১৬ রান করেন জাকির। ১৫তম ওভারে তিন উইকেট নেন নওয়াজ। ওভারের প্রথম বলে কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফজলে মাহমুদ। দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন জঙ্কার। তিন বলে এক রান করে জঙ্কার। পঞ্চম বলে মিরাজের ক্যাচ নেন কাপালি। ২ বলে ১ রান করেন অধিনায়ক মিরাজ। এর পরের ওভারে প্রসন্নকে বোল্ড করেন তানভীর। ১৮তম ওভারে আরাফাত সানিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন পাকিস্তানি এই বোলার। ১৯তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বীর উইকেটটি নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন কাপালি। এলবিডব্লিউ হন রাব্বী।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স। দলের পক্ষে ১৩ বলে ২৪ রান করেন ওপেনার লিটন দাস। জ্যাসন রয় ২৮ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কার সাহায্যে ৪২ রান সংগ্রহ করেন। ১০ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহেল তানভীর। রাজশাহী কিংসের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, আরাফাত সানি ১টি, কামরুল ইসলাম রাব্বী ১টি, সেকুগে প্রসন্ন ১টি ও রায়ান টেন ডেসকাট ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। সাব্বিরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আরাফাত সানি। তৃতীয় ওভারে মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে লিটনকে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর জ্যাসন রয় ও আফিফ হোসেন ৬২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৯০ রানে প্রসন্নর বলে বোল্ড হন প্রসন্ন।

এরপর সিলেটের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। দলীয় ১১৯ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বীর বলে জঙ্কারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পুরান। দলের রান যখন ১২৩ তখন ডেসকাটের বলে স্ট্যাম্পিং হন আফিফ হোসেন। ১৮তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ফজলে মাহমুদের হাতে ধার পড়েন নওয়াজ। শেষদিকে সোহেল তানভীরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরটা বড় করে সিলেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান সোহেল তানভীর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

বড় জয়ে আশা বাঁচাল সিলেট

আপডেট সময় ০১:৩০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৯
খেলাধূলা ডেস্কঃ

রাজশাহী কিংসকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার দৌঁড়ে টিকে থাকল সিলেট সিক্সার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে ৭৬ রানে হারিয়েছে অলক কাপালির দল। লিগ পর্বে সিলেটের আর তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। শেষ চারে খেলতে হলে সিলেটের এই তিন ম্যাচে জিততে হবে। সেই সাথে মেলাতে হবে অন্যান্য সমীকরণ। ৯ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সিলেট এখন ষষ্ঠ অবস্থানে আছে। অন্যদিকে, রাজশাহী এই ম্যাচে হারলেও তাদের প্লে-অফে খেলার আশা টিকে আছে। ৯ ম্যাচ খেলে আট পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা এখন আছে পঞ্চম অবস্থানে। লিগ পর্বে রাজশাহীরও তিনটি ম্যাচ বাকি আছে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেট সিক্সার্সের দেয়া ১৮১ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয় রাজশাহী কিংস। দলের পক্ষে হাফসেঞ্চুরি করেন ফজলে মাহমুদ। ৪১ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৫০ রান করেন তিনি। সিলেটের বোলারদের মধ্যে সোহেল তানভীর চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ২টি, মোহাম্মদ নওয়াজ ৩টি ও অলক কাপালি ২টি করে উইকেট নেন।

রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে চাপে থাকে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান ওপেনার লরি ইভান্স। সোহেল তানভীরের বলে নওয়াজের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৫ বল ১ রান করেন ইভান্স। তৃতীয় ওভারে তাসকিনের বলে সোহেল তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অপর ওপেনার মুমিনুল হক। ৮ বলে ৫ রান করেন তিনি।

অষ্টম ওভারে ডেসকাটকে বোল্ড করেন অধিনায়ক অলক কাপালি। ১২ বল খেলে ১২ রান করেন ডেসকাট। ১৪তম ওভারে তাসকিনকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রয়ের হাতে ক্যাচ হন জাকির। ১৭ বলে ১৬ রান করেন জাকির। ১৫তম ওভারে তিন উইকেট নেন নওয়াজ। ওভারের প্রথম বলে কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফজলে মাহমুদ। দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন জঙ্কার। তিন বলে এক রান করে জঙ্কার। পঞ্চম বলে মিরাজের ক্যাচ নেন কাপালি। ২ বলে ১ রান করেন অধিনায়ক মিরাজ। এর পরের ওভারে প্রসন্নকে বোল্ড করেন তানভীর। ১৮তম ওভারে আরাফাত সানিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন পাকিস্তানি এই বোলার। ১৯তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বীর উইকেটটি নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন কাপালি। এলবিডব্লিউ হন রাব্বী।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স। দলের পক্ষে ১৩ বলে ২৪ রান করেন ওপেনার লিটন দাস। জ্যাসন রয় ২৮ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কার সাহায্যে ৪২ রান সংগ্রহ করেন। ১০ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহেল তানভীর। রাজশাহী কিংসের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, আরাফাত সানি ১টি, কামরুল ইসলাম রাব্বী ১টি, সেকুগে প্রসন্ন ১টি ও রায়ান টেন ডেসকাট ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। সাব্বিরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আরাফাত সানি। তৃতীয় ওভারে মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে লিটনকে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর জ্যাসন রয় ও আফিফ হোসেন ৬২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৯০ রানে প্রসন্নর বলে বোল্ড হন প্রসন্ন।

এরপর সিলেটের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। দলীয় ১১৯ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বীর বলে জঙ্কারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পুরান। দলের রান যখন ১২৩ তখন ডেসকাটের বলে স্ট্যাম্পিং হন আফিফ হোসেন। ১৮তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ফজলে মাহমুদের হাতে ধার পড়েন নওয়াজ। শেষদিকে সোহেল তানভীরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরটা বড় করে সিলেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান সোহেল তানভীর।