কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হামলা চালিয়ে দুই নারীসহ তিনজনকে আহত করেছে বখাটেরা। উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের বেরলা গ্রামের মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার প্রাপ্ত মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাজেদা বেগমের স্বামী জসিম উদ্দিন স্থানীয় ধোড়করা বাজারে চা দোকানে চাকরি করেন। জসিম উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে সাজেদাকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতো পাশের বাড়ির আবদুর রহমানের ছেলে শাহাদাত হোসেন। এতে রাজি না হওয়ায় শাহাদাত হোসেন বিভিন্ন সময় সাজেদাকে হুমকি দিতো ‘একা পাইলে তোকে অপহরণ করে নিয়ে যাবো। জোরপূর্বক ধর্ষণ করবো’।
বিষয়টি স্বামীকে জানিয়েছিলেন সাজেদা। এরমধ্যে বুধবার ভোরে সাজেদা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা শাহাদাত হোসেন ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তাকে জাপটে ধরে। এ সময় সাজেদা চিৎকারের চেষ্টা করলে অভিযুক্ত শাহাদাত তার গলায় মাফলার দিয়ে মুখ চেপে ও মাটিতে ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। সাজেদার চিৎকার শুনে বাড়িতে থাকা তার ভাসুর আলী হোসেন ও ননদ আলেয়া বেগম ঘর থেকে বের হয়ে শাহাদাতের হাত থেকে সাজেদাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এ সময় শাহাদাত হোসেন ও তার সহযোগিরা সাজেদা বেগম, ভাসুর আলী হোসেন ও ননদ আলেয়া বেগমকে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিছুক্ষণ পর শাহাদাত হোসেন, তার ভাই মোঃ শরীফসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সাজেদার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলায় আলী হোসেন ও আলেয়া বেগম রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহত সাজেদা, আলী হোসেন ও আলেয়া বেগমকে দ্রুত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
পরদিন সাজেদা বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন ও তার ভাই শরীফসহ ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।