ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদী প্রভাবশালীরা দখল করে ১২’শ ফিট লম্বা বাধ!!

সালমা আহমেদ,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে তিতাস নদীতে ১২শ ফিট লম্বা বাঁধ দিয়ে নদী দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামে এ বাধ নির্মান করা হয়। নদীর জায়গা ভরাটের কারণে নৌ চলাচল ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাশে ওয়াই সেতুর পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে ভুরভুরিয়া গ্রামের মমিনুল হক মোমেন, রিয়াজুল হক অবিদ, মদন মিয়া, সাত্তার মিয়া, হানিফ মিয়া, হানিফ, মতিন মিয়া, শান্তি মেম্বারের নেতৃত্বে তিতাস নদীর তীর দখল করে বাঁধ নির্মাণ করেছেন।

প্রায় ১২ বিঘা ফসলি জমিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর তিতাস নদী খননের উত্তোলিত বালি দিয়ে ভরাট করার জন্য। প্রায় এক হাজার ২০০ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট চওড়া এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,ভুরভুরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ভুরভুরিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে তিতাস নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১২শ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট চওড়া বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। যে জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে এটা নদীর জায়গা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এই বাঁধের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে ঘাট ব্যবহারকারীরা দুর্ভোগে পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে ভুরভুরিয়া গ্রামের শাহাদাত মিয়া জানান, তিতাস নদীর পাশে যেই জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে এটা আমাদের জমি। ঠিকভাবে মাপলে নদীর ভেতরে অনেক জায়গা আমরা পাব। কিছু ব্যক্তি নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমরা নাকি নদী ভরাট করে ফেলতেছি। যাতে করে আমারে জায়গাটা ভরাট না হয়।

ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, ভুরভুরিয়া তিতাস নদীর তীরে বড় বাঁধ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। আমি গিয়ে দেখবো তারপরে ইউএনও স্যারকে জানাব।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ খাঁনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভুরভুরিয়া গ্রামে তিতাস নদীর পাশে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি আমরা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, আমি বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের আগেই বলে দিয়েছি নদীর জায়গা ভরাট না করতে। রাস্তার কোনো জায়গা যাতে ক্ষতি না হয় এই বিষয়ে। আমি ভুরভুরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখব, যদি নদী দখল হয়ে থাকে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদী প্রভাবশালীরা দখল করে ১২’শ ফিট লম্বা বাধ!!

আপডেট সময় ০২:১৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সালমা আহমেদ,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে তিতাস নদীতে ১২শ ফিট লম্বা বাঁধ দিয়ে নদী দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামে এ বাধ নির্মান করা হয়। নদীর জায়গা ভরাটের কারণে নৌ চলাচল ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাশে ওয়াই সেতুর পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে ভুরভুরিয়া গ্রামের মমিনুল হক মোমেন, রিয়াজুল হক অবিদ, মদন মিয়া, সাত্তার মিয়া, হানিফ মিয়া, হানিফ, মতিন মিয়া, শান্তি মেম্বারের নেতৃত্বে তিতাস নদীর তীর দখল করে বাঁধ নির্মাণ করেছেন।

প্রায় ১২ বিঘা ফসলি জমিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর তিতাস নদী খননের উত্তোলিত বালি দিয়ে ভরাট করার জন্য। প্রায় এক হাজার ২০০ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট চওড়া এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,ভুরভুরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ভুরভুরিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে তিতাস নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১২শ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট চওড়া বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। যে জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে এটা নদীর জায়গা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এই বাঁধের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে ঘাট ব্যবহারকারীরা দুর্ভোগে পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে ভুরভুরিয়া গ্রামের শাহাদাত মিয়া জানান, তিতাস নদীর পাশে যেই জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে এটা আমাদের জমি। ঠিকভাবে মাপলে নদীর ভেতরে অনেক জায়গা আমরা পাব। কিছু ব্যক্তি নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমরা নাকি নদী ভরাট করে ফেলতেছি। যাতে করে আমারে জায়গাটা ভরাট না হয়।

ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, ভুরভুরিয়া তিতাস নদীর তীরে বড় বাঁধ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। আমি গিয়ে দেখবো তারপরে ইউএনও স্যারকে জানাব।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ খাঁনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভুরভুরিয়া গ্রামে তিতাস নদীর পাশে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি আমরা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, আমি বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের আগেই বলে দিয়েছি নদীর জায়গা ভরাট না করতে। রাস্তার কোনো জায়গা যাতে ক্ষতি না হয় এই বিষয়ে। আমি ভুরভুরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখব, যদি নদী দখল হয়ে থাকে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নিব।