ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

খেলাধূলা ডেস্কঃ

গ্রুপপর্বের দুই সাক্ষাতেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই রংপুরের বিপক্ষেই হেরে গত বিপিএলের সেরা চার থেকে ছিটকে পড়েছিলো কুমিল্লা। সবমিলিয়ে কুমিল্লার অনেক প্রতিশোধ নেওয়ার ম্যাচ ছিলো গতকাল। প্রতিশোধ নিতে পারলো তারা। আকাশে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেলো কুমিল্লা।

এই হারে অবশ্য রংপুরের সব শেষ হয়ে যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী আগামীকাল তারা আরেকটি কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ পাবে। সেখানে রংপুরের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে, এলিমিনেটরে চিটাগং ভাইকিংসকে হারায় ঢাকা। ফলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে।

 

আগে ব্যাট করা রংপুর ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলেছিলো ১৫৫ রান। জবাব দিতে নেমে এভিন লুইসের অসাধারণ ৭১ রান এবং এনামুল হক বিজয়ের ৩৯ ও সামসুর রহমানের ৩৪ রানে ভর করে জয় পেয়ে যায় কুমিল্লা।

ইনিংসের শুরুতেই পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। মেহেদী মারুফ ১ রান ও মোহাম্মদ মিঠুন ৩ রান করে ফিরে আসেন। ইনজুরির জন্য দেশে ফিরে যাওয়া অ্যালেক্স হেলস ও চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরে যাওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতি ভালোই টের পাচ্ছিলো রংপুর। কিন্তু সেই অভাকটা পুষিয়ে দিতে খানিকটা হলেও ছন্দে ফেরেন ক্রিস গেইল।

গেইল ৪৪ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান করেন। তবে আসল কাজটা করেন সেই রাইলি রুশো ও বেনি হাওয়েল। এই দু জন জুটি করার আগে গেইলের পর বোপারাও দ্রুত ফিরে যান। বোপারা ৩টি মাত্র রান করেন। রুশো ও হাওয়েল ৭০ রানের একটা ঝড়ো গতির জুটি করেন।

শেষ দুই ওভারে হাওয়েল-রুশো ৩৭ রান তুলে ফেলেন। ফলে রংপুরের স্কোরটা হঠাত্ করেই বড় হয়ে ওঠে। রুশো তার ভয়ানক ফর্ম ধরে রেখে ৩১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন। অন্য দিকে অলরাউন্ডার হাওয়েল ২৮ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

জবাব দিতে নেমে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি করেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। তামিম ১৭ রান করে ফিরে আসেন। এরপর কুমিল্লাকে ম্যাচ জেতানোর আসল কাজটা করে দেয় লুইস ও বিজয়ের ৯০ রানের জুটি। এই জুটিতে ৩২ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন বিজয়। লুইস শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাশে ঝড় তোলা সামসুর ১৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

আপডেট সময় ০৭:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
খেলাধূলা ডেস্কঃ

গ্রুপপর্বের দুই সাক্ষাতেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই রংপুরের বিপক্ষেই হেরে গত বিপিএলের সেরা চার থেকে ছিটকে পড়েছিলো কুমিল্লা। সবমিলিয়ে কুমিল্লার অনেক প্রতিশোধ নেওয়ার ম্যাচ ছিলো গতকাল। প্রতিশোধ নিতে পারলো তারা। আকাশে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেলো কুমিল্লা।

এই হারে অবশ্য রংপুরের সব শেষ হয়ে যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী আগামীকাল তারা আরেকটি কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ পাবে। সেখানে রংপুরের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে, এলিমিনেটরে চিটাগং ভাইকিংসকে হারায় ঢাকা। ফলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে।

 

আগে ব্যাট করা রংপুর ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলেছিলো ১৫৫ রান। জবাব দিতে নেমে এভিন লুইসের অসাধারণ ৭১ রান এবং এনামুল হক বিজয়ের ৩৯ ও সামসুর রহমানের ৩৪ রানে ভর করে জয় পেয়ে যায় কুমিল্লা।

ইনিংসের শুরুতেই পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। মেহেদী মারুফ ১ রান ও মোহাম্মদ মিঠুন ৩ রান করে ফিরে আসেন। ইনজুরির জন্য দেশে ফিরে যাওয়া অ্যালেক্স হেলস ও চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরে যাওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতি ভালোই টের পাচ্ছিলো রংপুর। কিন্তু সেই অভাকটা পুষিয়ে দিতে খানিকটা হলেও ছন্দে ফেরেন ক্রিস গেইল।

গেইল ৪৪ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান করেন। তবে আসল কাজটা করেন সেই রাইলি রুশো ও বেনি হাওয়েল। এই দু জন জুটি করার আগে গেইলের পর বোপারাও দ্রুত ফিরে যান। বোপারা ৩টি মাত্র রান করেন। রুশো ও হাওয়েল ৭০ রানের একটা ঝড়ো গতির জুটি করেন।

শেষ দুই ওভারে হাওয়েল-রুশো ৩৭ রান তুলে ফেলেন। ফলে রংপুরের স্কোরটা হঠাত্ করেই বড় হয়ে ওঠে। রুশো তার ভয়ানক ফর্ম ধরে রেখে ৩১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন। অন্য দিকে অলরাউন্ডার হাওয়েল ২৮ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

জবাব দিতে নেমে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি করেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। তামিম ১৭ রান করে ফিরে আসেন। এরপর কুমিল্লাকে ম্যাচ জেতানোর আসল কাজটা করে দেয় লুইস ও বিজয়ের ৯০ রানের জুটি। এই জুটিতে ৩২ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন বিজয়। লুইস শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাশে ঝড় তোলা সামসুর ১৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।