ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার মিলতে পারে সুপার হিউম্যানের খোঁজ: নাসা

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও ‘সুপার হিউম্যান’দের দেখা পেতে আর হয়ত বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না মানুষকে! জন্ম হলো প্রাণ-সৃষ্টির মূল উপাদানের মতোই সম্পূর্ণ নতুন ধরনের আরও একটি অণুর। যার নাম-‘হাচিমোজি’। জাপানি শব্দ ‘হাচিমোজি’। এর আগে এই ধরনের অণুর হদিস মেলেনি পৃথিবীতে। খোঁজ মেলেনি ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও। এই অণুর হাতেই ‘সুপার হিউম্যান’র জিয়নকাঠি! আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এর সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স (আইসিএসপি)-এর অ্যাস্ট্রোকেমিস্ট্রি ও অ্যাস্ট্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান অঙ্কন দাসের বক্তব্য, কোটি কোটি বছরের পরিক্রমায় সেই প্রাণ হয়ত আরও উন্নত হয়ে গিয়েছে। বা আমাদের মতোই কোনো জীব হয়ত কোনো সুদূর অতীতে কৃত্রিমভাবে সেই প্রাণ সৃষ্টি করেছিল। যা আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি উন্নত। তা হতে পারে উন্নততর মানুষ বা ‘সুপার হিউম্যান’। বা হতে পারে উন্নততর প্রাণী কিংবা উন্নততর কোনো উদ্ভিদ!

মিশিগান থেকে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ ভারতীয় অধ্যাপক কুমার রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, এতদিন জানা ছিল, ডিএনএ-র শরীর গড়ে তোলে প্রাণ সৃষ্টির বর্ণমালার চারটি অক্ষর। এ, সি, জি, টি। প্রাণের টানে বর্ণমালার সেই চারটি অক্ষরই পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়ে হয়ে যায় ২০। নিজেদের মধ্যে নানা রকমের কায়দা-কসরতের মাধ্যমে গড়ে তোলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড।

রঙ্গনাথন বলেন, আমাদের গবেষণা জানাল, ধারণাটা এবার বদলাতে হবে। ডিএনএ অণুর মতোই আরও একটি অণুর অস্তিত্ব সম্ভব। তেমন অণুও বানানো যায়, যেখানে চারটি নয়, আটটি জিনিস দিয়ে গড়ে উঠছে ডিএনএ-র শরীর। তাদের সংক্ষিপ্ত নামগুলো হলো, পি, বি, এস এবং জেড। এর নাম আমরা দিয়েছি, ‘হাচিমোজি’। ‘হাচি’ মানে, আট। আর ‘মোজি’ মানে, অক্ষর।

তার মতে, আগের সেই ধারণার বাইরে ৪টি অক্ষরের বদলে ৮টি অক্ষরের সমন্বয়ে তৈরি হবে ডিএনএ। এমনটি হলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিডের বদলে আরও অনেক বেশি অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে যা দিয়ে তৈরি হবে নতুন নতুন রকমের প্রাণ। আর সেটা হলে আমাদের চেয়ে আরও অনেক বেশি উন্নত প্রাণের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

মূলত এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, হয়ত পৃথিবীতে কিংবা অন্য কোনো গ্রহে ইতোমধ্যে হাচিমোজি অণুর সাহায্যে তৈরি হয়ে গেছে বিশেষ কোনো প্রাণ, এই বিশেষ প্রাণকেই সুপার হিউম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। -আনন্দবাজার

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

এবার মিলতে পারে সুপার হিউম্যানের খোঁজ: নাসা

আপডেট সময় ১০:২৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও ‘সুপার হিউম্যান’দের দেখা পেতে আর হয়ত বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না মানুষকে! জন্ম হলো প্রাণ-সৃষ্টির মূল উপাদানের মতোই সম্পূর্ণ নতুন ধরনের আরও একটি অণুর। যার নাম-‘হাচিমোজি’। জাপানি শব্দ ‘হাচিমোজি’। এর আগে এই ধরনের অণুর হদিস মেলেনি পৃথিবীতে। খোঁজ মেলেনি ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও। এই অণুর হাতেই ‘সুপার হিউম্যান’র জিয়নকাঠি! আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এর সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স (আইসিএসপি)-এর অ্যাস্ট্রোকেমিস্ট্রি ও অ্যাস্ট্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান অঙ্কন দাসের বক্তব্য, কোটি কোটি বছরের পরিক্রমায় সেই প্রাণ হয়ত আরও উন্নত হয়ে গিয়েছে। বা আমাদের মতোই কোনো জীব হয়ত কোনো সুদূর অতীতে কৃত্রিমভাবে সেই প্রাণ সৃষ্টি করেছিল। যা আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি উন্নত। তা হতে পারে উন্নততর মানুষ বা ‘সুপার হিউম্যান’। বা হতে পারে উন্নততর প্রাণী কিংবা উন্নততর কোনো উদ্ভিদ!

মিশিগান থেকে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ ভারতীয় অধ্যাপক কুমার রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, এতদিন জানা ছিল, ডিএনএ-র শরীর গড়ে তোলে প্রাণ সৃষ্টির বর্ণমালার চারটি অক্ষর। এ, সি, জি, টি। প্রাণের টানে বর্ণমালার সেই চারটি অক্ষরই পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়ে হয়ে যায় ২০। নিজেদের মধ্যে নানা রকমের কায়দা-কসরতের মাধ্যমে গড়ে তোলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড।

রঙ্গনাথন বলেন, আমাদের গবেষণা জানাল, ধারণাটা এবার বদলাতে হবে। ডিএনএ অণুর মতোই আরও একটি অণুর অস্তিত্ব সম্ভব। তেমন অণুও বানানো যায়, যেখানে চারটি নয়, আটটি জিনিস দিয়ে গড়ে উঠছে ডিএনএ-র শরীর। তাদের সংক্ষিপ্ত নামগুলো হলো, পি, বি, এস এবং জেড। এর নাম আমরা দিয়েছি, ‘হাচিমোজি’। ‘হাচি’ মানে, আট। আর ‘মোজি’ মানে, অক্ষর।

তার মতে, আগের সেই ধারণার বাইরে ৪টি অক্ষরের বদলে ৮টি অক্ষরের সমন্বয়ে তৈরি হবে ডিএনএ। এমনটি হলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিডের বদলে আরও অনেক বেশি অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে যা দিয়ে তৈরি হবে নতুন নতুন রকমের প্রাণ। আর সেটা হলে আমাদের চেয়ে আরও অনেক বেশি উন্নত প্রাণের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

মূলত এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, হয়ত পৃথিবীতে কিংবা অন্য কোনো গ্রহে ইতোমধ্যে হাচিমোজি অণুর সাহায্যে তৈরি হয়ে গেছে বিশেষ কোনো প্রাণ, এই বিশেষ প্রাণকেই সুপার হিউম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। -আনন্দবাজার