ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে দেড় শতাধিক গাছ কর্তন

ফয়সাল আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রায় দেড় শতাধিক গাছ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এই ব্যাপারে তেজখালী গ্রামের কামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

অভিযুক্তরা হলেন তেজখালী গ্রামের মরহুম কাজী অলেক মিয়ার ছেলে কাজী বাদল মিয়া, কাজী বাবুল মিয়া, কাজী লিটন মিয়া, কাজী রিপন, মরহুম সুলতান মিয়ার ছেলে আমির মিয়া, মোহন মিয়ার ছেলে অলি মিয়া, জোনাব আলীর ছেলে হাসেম মিয়া, আজিজুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, তেজখালী গ্রামের সামছু মিয়া ও তার ছেলেরা মরহুম কাজী অলেক মিয়ার ভাই মরহুম প্রকৌশলী আব্দুল মালেকের কাছ থেকে ১০ বছর পূর্বে ৬৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। এই জায়গা নিয়ে অলেক মিয়ার ছেলেদের সাথে সামছু মিয়ার ছেলেদের দ্বন্দ চলে আসছিল। এ বিষয় নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে কাজী বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই ও সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় একশত ফুট লম্বা দেয়াল ভাংচুর করে এবং কাঁঠাল, জাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড়শত গাছ কর্তন করে। এই ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এস.আই খাজা মাইনউদ্দিন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাজী বাবুল মিয়া বলেন, ‘‘আমার চাচা কাজী মালেক মিয়া জায়গাটি সামছু মিয়ার ছেলেদের কাছে বিক্রি করলেও আমরা ওয়ারিশ হিসাবে এই জায়গায় আমাদের অংশীদারিত্ব আছে। এই জায়গা নিয়ে মালেক চাচার সাথে করা মামলা এখনও চলমান রয়েছে।’’

এ বিষয়ে মো: সামছু মিয়া বলেন, “আমি মালেক মিয়ার কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে জায়গার মালিক। কিন্তু অলেক মিয়ার ছেলেরা দা, লাঠি-সোটা ও হাতুরি নিয়ে এসে আমার কাঠের বাগান কাটছে এবং আমার বিশাল দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে গেছে এবং আমার পরিবারের  সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।”

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এস.আই খাজা মাইনউদ্দিন বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার দৃশ্য ও দেয়াল ভাঙ্গার বিষয়টি দেখে আসি এবং সামছু মিয়া ও তার ছেলেরা ক্রয়সূত্রে মালিক।’’
এই বিষয়ে নবীনগর সার্কেল এএসপি চিত্ত রঞ্জন পাল বলেন,‘‘ তেজখালী গ্রামের বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে যারা দোষি হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে দেড় শতাধিক গাছ কর্তন

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯
ফয়সাল আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রায় দেড় শতাধিক গাছ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এই ব্যাপারে তেজখালী গ্রামের কামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

অভিযুক্তরা হলেন তেজখালী গ্রামের মরহুম কাজী অলেক মিয়ার ছেলে কাজী বাদল মিয়া, কাজী বাবুল মিয়া, কাজী লিটন মিয়া, কাজী রিপন, মরহুম সুলতান মিয়ার ছেলে আমির মিয়া, মোহন মিয়ার ছেলে অলি মিয়া, জোনাব আলীর ছেলে হাসেম মিয়া, আজিজুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, তেজখালী গ্রামের সামছু মিয়া ও তার ছেলেরা মরহুম কাজী অলেক মিয়ার ভাই মরহুম প্রকৌশলী আব্দুল মালেকের কাছ থেকে ১০ বছর পূর্বে ৬৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। এই জায়গা নিয়ে অলেক মিয়ার ছেলেদের সাথে সামছু মিয়ার ছেলেদের দ্বন্দ চলে আসছিল। এ বিষয় নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে কাজী বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই ও সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় একশত ফুট লম্বা দেয়াল ভাংচুর করে এবং কাঁঠাল, জাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড়শত গাছ কর্তন করে। এই ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এস.আই খাজা মাইনউদ্দিন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাজী বাবুল মিয়া বলেন, ‘‘আমার চাচা কাজী মালেক মিয়া জায়গাটি সামছু মিয়ার ছেলেদের কাছে বিক্রি করলেও আমরা ওয়ারিশ হিসাবে এই জায়গায় আমাদের অংশীদারিত্ব আছে। এই জায়গা নিয়ে মালেক চাচার সাথে করা মামলা এখনও চলমান রয়েছে।’’

এ বিষয়ে মো: সামছু মিয়া বলেন, “আমি মালেক মিয়ার কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে জায়গার মালিক। কিন্তু অলেক মিয়ার ছেলেরা দা, লাঠি-সোটা ও হাতুরি নিয়ে এসে আমার কাঠের বাগান কাটছে এবং আমার বিশাল দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে গেছে এবং আমার পরিবারের  সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।”

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এস.আই খাজা মাইনউদ্দিন বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার দৃশ্য ও দেয়াল ভাঙ্গার বিষয়টি দেখে আসি এবং সামছু মিয়া ও তার ছেলেরা ক্রয়সূত্রে মালিক।’’
এই বিষয়ে নবীনগর সার্কেল এএসপি চিত্ত রঞ্জন পাল বলেন,‘‘ তেজখালী গ্রামের বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে যারা দোষি হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’