ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতীকের অপেক্ষায় তিতাসের ভোটার ও প্রার্থীরা

মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা) থেকেঃ  
আগামী ৩১ মার্চ চুর্থত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আগেই জেনে গেছেন তাদের প্রতীকের কথা। বাকি রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ।
বিভিন্ন চায়ের দোকান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে এখন প্রতীক নিয়ে চলছে নানা খোশগল্প। কে কোন প্রতীক পেতে যাচ্ছেন, যদি একই প্রতীক দু’জনের পছন্দ হয় তাহলে কি হবে, লটারির ফল অনুকূলে না প্রতিকূলে যাবে- এমন সব নানা জল্পনা কল্পনা।
এ নিয়ে প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারের মাঝে রয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনাও। তবে প্রার্থীর চেয়ে যেন সমর্থক ও সাধারণ ভোটারের মধ্যেই বেশি কৌতুহল। প্রতীক পেলেই শুরু হয়ে যাবে ‘তোমার আমার মার্কা…মার্কা’ স্লোগানে নিয়ে জনসংযোগ।
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ভোটার, প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রতীক নিয়ে এমন উৎসাহ উদ্দীপনার কথা।
প্রতীক নিয়ে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদের সমর্থকরা জানান, আমাদের পছন্দের প্রার্থী প্রতীক পেলে নির্বাচনের আসল উন্মাদনা শুরু হবে। প্রতীকের পোস্টারে ছেয়ে যাবে এলাকা। উৎসবে পরিণত হবে ভোটের মাঠ।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসাম্মৎ নাছিমা আক্তারের স্বামী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান কিরন বলেন, আমাদের প্রার্থী কি প্রতীক পাবেন তা নিয়ে এখন থেকেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। তবে আমাদের চয়েজ দেয়া প্রতীক যেন পান সেই দোয়াই করছি। প্রতীক পেলেই পুরোদমে প্রচারনা শুরু করবো।
তবে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা নীরবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। যদিও আগামী ১৪ তারিখ প্রতীক দেয়ার পর প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা। তবে নীরবে প্রচার প্রচারণা চালালেও প্রার্থীরা প্রতীকের অপেক্ষায় রয়েছে বলে অনেক প্রার্থী জানিয়েছেন। প্রতীক পেলেই তারা ছুটবেন পোস্টারের ছাপাখানায়। সেই সঙ্গেও  ভোটযুদ্ধে পুরোপুরি তারা মাঠে নামবেন বলে মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র জামাদানের পর গত (৬ মার্চ) বুধবার যাচাইবাছাইও সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, আগামী ১৩ তারিখ প্রত্যাহারের পর ১৪ তারিখ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক দেয়া হবে। এখন আমরা ভোট কেন্দ্র চূড়ান্ত করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি করছি। প্রতি ভোট কেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি বুথে একজন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দুইজন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী আমরা কর্মকর্তা নিয়োগ করছি। তিতাস উপজেলায় মোট ৪৫টি কেন্দ্র ও ৩০৭টি বুথ  চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতীকের অপেক্ষায় তিতাসের ভোটার ও প্রার্থীরা

আপডেট সময় ১২:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০১৯
মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা) থেকেঃ  
আগামী ৩১ মার্চ চুর্থত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আগেই জেনে গেছেন তাদের প্রতীকের কথা। বাকি রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ।
বিভিন্ন চায়ের দোকান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে এখন প্রতীক নিয়ে চলছে নানা খোশগল্প। কে কোন প্রতীক পেতে যাচ্ছেন, যদি একই প্রতীক দু’জনের পছন্দ হয় তাহলে কি হবে, লটারির ফল অনুকূলে না প্রতিকূলে যাবে- এমন সব নানা জল্পনা কল্পনা।
এ নিয়ে প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারের মাঝে রয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনাও। তবে প্রার্থীর চেয়ে যেন সমর্থক ও সাধারণ ভোটারের মধ্যেই বেশি কৌতুহল। প্রতীক পেলেই শুরু হয়ে যাবে ‘তোমার আমার মার্কা…মার্কা’ স্লোগানে নিয়ে জনসংযোগ।
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ভোটার, প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রতীক নিয়ে এমন উৎসাহ উদ্দীপনার কথা।
প্রতীক নিয়ে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদের সমর্থকরা জানান, আমাদের পছন্দের প্রার্থী প্রতীক পেলে নির্বাচনের আসল উন্মাদনা শুরু হবে। প্রতীকের পোস্টারে ছেয়ে যাবে এলাকা। উৎসবে পরিণত হবে ভোটের মাঠ।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসাম্মৎ নাছিমা আক্তারের স্বামী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান কিরন বলেন, আমাদের প্রার্থী কি প্রতীক পাবেন তা নিয়ে এখন থেকেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। তবে আমাদের চয়েজ দেয়া প্রতীক যেন পান সেই দোয়াই করছি। প্রতীক পেলেই পুরোদমে প্রচারনা শুরু করবো।
তবে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা নীরবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। যদিও আগামী ১৪ তারিখ প্রতীক দেয়ার পর প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা। তবে নীরবে প্রচার প্রচারণা চালালেও প্রার্থীরা প্রতীকের অপেক্ষায় রয়েছে বলে অনেক প্রার্থী জানিয়েছেন। প্রতীক পেলেই তারা ছুটবেন পোস্টারের ছাপাখানায়। সেই সঙ্গেও  ভোটযুদ্ধে পুরোপুরি তারা মাঠে নামবেন বলে মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র জামাদানের পর গত (৬ মার্চ) বুধবার যাচাইবাছাইও সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, আগামী ১৩ তারিখ প্রত্যাহারের পর ১৪ তারিখ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক দেয়া হবে। এখন আমরা ভোট কেন্দ্র চূড়ান্ত করে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি করছি। প্রতি ভোট কেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি বুথে একজন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দুইজন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী আমরা কর্মকর্তা নিয়োগ করছি। তিতাস উপজেলায় মোট ৪৫টি কেন্দ্র ও ৩০৭টি বুথ  চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।