ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাসের দাম ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি ও দুই চুলার দাম ১৪৪০ টাকাকরার নতুন প্রস্তাব

জাতীয় ডেস্কঃ

গ্যাসের দাম গড়ে ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। নতুন এ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে গৃহস্থালী পর্যায়ে দুই বার্নার চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪৪০ টাকা। এক বার্নার চুলার দাম ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ প্রস্তাবনায় শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।

 

এদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্যাসে বড় অংকের একটা ভর্তুকি দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিটা আমরা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এই দাম বাড়ানোতে আমাদের যে লাভ হবে তা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হলো, আমাদের যে গ্যাসের অবস্থা সেটা পূরণ করার জন্য আমরা দামি গ্যাস এলএনজি নিয়ে আসছি। এই এলএনজি আনার জন্য বাড়তি একটি দাম এর মধ্যে যুক্ত হচ্ছে। যার বেশিরভাগ যুক্ত হবে শিল্প ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে। গৃহস্থালীতে এ ব্যাপারটি যুক্ত হওয়ার পরিমাাণ খুব কম। আমরা বিভিন্ন শিল্প কারখানার সঙ্গে কয়েকবার বসেছি। দাম বাড়ানোতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তাদের একটাই দাবি, তারা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চায়। যে কারণে দাম বাড়ানো।’

এ ব্যাপারে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানী উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলছেন, ‘শেষ মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাস হয়নি এখনো। এর মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব আইন অনুযায়ী অবৈধ।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

গ্যাসের দাম ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি ও দুই চুলার দাম ১৪৪০ টাকাকরার নতুন প্রস্তাব

আপডেট সময় ০৮:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

গ্যাসের দাম গড়ে ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। নতুন এ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে গৃহস্থালী পর্যায়ে দুই বার্নার চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪৪০ টাকা। এক বার্নার চুলার দাম ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ প্রস্তাবনায় শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।

 

এদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্যাসে বড় অংকের একটা ভর্তুকি দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিটা আমরা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এই দাম বাড়ানোতে আমাদের যে লাভ হবে তা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হলো, আমাদের যে গ্যাসের অবস্থা সেটা পূরণ করার জন্য আমরা দামি গ্যাস এলএনজি নিয়ে আসছি। এই এলএনজি আনার জন্য বাড়তি একটি দাম এর মধ্যে যুক্ত হচ্ছে। যার বেশিরভাগ যুক্ত হবে শিল্প ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে। গৃহস্থালীতে এ ব্যাপারটি যুক্ত হওয়ার পরিমাাণ খুব কম। আমরা বিভিন্ন শিল্প কারখানার সঙ্গে কয়েকবার বসেছি। দাম বাড়ানোতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তাদের একটাই দাবি, তারা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চায়। যে কারণে দাম বাড়ানো।’

এ ব্যাপারে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানী উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলছেন, ‘শেষ মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাস হয়নি এখনো। এর মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব আইন অনুযায়ী অবৈধ।’