ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিবেকহীন পুরুষরা এটা করেন : নুসরাত

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

ভারতে চলছে নির্বাচনের ডামাডোল। সেই ডামাডোলে শরিক হয়েছেন কলকাতার চলচ্চিত্র তারকারাও। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন দুজন্য টালিউড সুন্দরী নুসরাত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী। তাদের ব্যাপারে নিজের পছন্দের কথা জানিয়েছেন দলীয় প্রধান মমতা ব্যানার্জি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনার বসিরহাট নির্বাচনী এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন এ চিত্রতারকা।

তবে রাজনীতিতে নুসরাতের যুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না তার ভক্তরা। গত মঙ্গলবার নুসরাত ও মিমির নাম ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা দুজনেই ট্রোলড হচ্ছেন নিয়মিত। বিশেষ করে নুসরাতকে উদ্দেশ্য করে সমালোচনায় মেতে উঠেছন অনেকে। কিন্তু এসব সমালোচনায় ক্ষুব্ধ নুসরাত জাহান।

তিনি বলেন, ‘এসব অপসংস্কৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের অবমাননা করা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। বিবেকহীন পুরুষরা এটা করেন। তাদের সংখ্যা নগণ্য। আমরা চাই, নারীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হোক। আমার মনে হয়, রাজনীতিতে এসে এ কাজটাই করতে পারব।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে নিয়ে এভাবে ট্রল করছে ওরা হয়তো জানেনা মা আর বোনদের কীভাবে সম্মান করতে হয়।’ নুসরাত সিনেমা আর রাজনীতি একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারবেন কি না, রাজনীতি কতটুকু বোঝেন— এ প্রশ্নে দ্বিধান্বিত পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাদের ধারণা, সিনেমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে নুসরাতের?

এসব প্রশ্নে নুসরাত জানিয়েছেন, ‘রাজনীতি! বাড়ির কাজের মতোই আর একটা কাজ।’ কঠিন কিন্তু তার জন্য অসম্ভব নয়, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেছেন, রাজনীতির জন্য আমার সিনেমার ক্যারিয়ার কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সেদিকে খেয়াল রেখেই দায়িত্ব পালন করে যাব।

নুসরাতের মতে, ‘মানুষ এত দিন আমার অভিনয় ভালোবেসেছেন। এবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে আমি একটা সুযোগ পেয়েছি।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

বিবেকহীন পুরুষরা এটা করেন : নুসরাত

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০১৯
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

ভারতে চলছে নির্বাচনের ডামাডোল। সেই ডামাডোলে শরিক হয়েছেন কলকাতার চলচ্চিত্র তারকারাও। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন দুজন্য টালিউড সুন্দরী নুসরাত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী। তাদের ব্যাপারে নিজের পছন্দের কথা জানিয়েছেন দলীয় প্রধান মমতা ব্যানার্জি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনার বসিরহাট নির্বাচনী এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন এ চিত্রতারকা।

তবে রাজনীতিতে নুসরাতের যুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না তার ভক্তরা। গত মঙ্গলবার নুসরাত ও মিমির নাম ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা দুজনেই ট্রোলড হচ্ছেন নিয়মিত। বিশেষ করে নুসরাতকে উদ্দেশ্য করে সমালোচনায় মেতে উঠেছন অনেকে। কিন্তু এসব সমালোচনায় ক্ষুব্ধ নুসরাত জাহান।

তিনি বলেন, ‘এসব অপসংস্কৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের অবমাননা করা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। বিবেকহীন পুরুষরা এটা করেন। তাদের সংখ্যা নগণ্য। আমরা চাই, নারীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হোক। আমার মনে হয়, রাজনীতিতে এসে এ কাজটাই করতে পারব।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে নিয়ে এভাবে ট্রল করছে ওরা হয়তো জানেনা মা আর বোনদের কীভাবে সম্মান করতে হয়।’ নুসরাত সিনেমা আর রাজনীতি একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারবেন কি না, রাজনীতি কতটুকু বোঝেন— এ প্রশ্নে দ্বিধান্বিত পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাদের ধারণা, সিনেমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে নুসরাতের?

এসব প্রশ্নে নুসরাত জানিয়েছেন, ‘রাজনীতি! বাড়ির কাজের মতোই আর একটা কাজ।’ কঠিন কিন্তু তার জন্য অসম্ভব নয়, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেছেন, রাজনীতির জন্য আমার সিনেমার ক্যারিয়ার কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সেদিকে খেয়াল রেখেই দায়িত্ব পালন করে যাব।

নুসরাতের মতে, ‘মানুষ এত দিন আমার অভিনয় ভালোবেসেছেন। এবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে আমি একটা সুযোগ পেয়েছি।’