জাতীয় ডেস্কঃ
সুপ্রভাত পরিবহনের বেপরোয়া বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহতের ঘটনায় রাজধানীর অন্যান্য জায়গার ন্যায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছি।
এর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছে। এতে করে ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-দোহার রুটের একাংশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে মিরপুর রোডে ধানমন্ডি ২৭ থেকে ৩২ নম্বর পর্যন্ত পূর্ব পাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তারাও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এ সড়কেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করছেন উত্তরা ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে একটি বাসচাপা দেয়। এতে প্রাণ হারান তিনি। এরপর শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী সারাদিন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
মঙ্গলবার রাতে এ মামলা হয় বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম। মামলায় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, চালকের সহকারী, বাসের কন্ট্রাকটর ও মালিককে আসামি করা হয়।
আবরার ছিলেন বিইউপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী, গৃহিণী মা ফরিদা ফাতেমী ও একমাত্র ছোট ভাই আবিদ আহমেদ চৌধুরীকে নিয়ে থাকতেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায়।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নিহত আবরার আহমেদ চৌধুরীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের বিইউপি এডিবি গ্রেড গ্রাউন্ড মাঠে। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।