জাতীয় ডেস্কঃ
সীমান্তে এত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পরও ইয়াবা কারবারিরা নিত্য নতুন কৌশলে দেশে ইয়াবা আনছে। এবার রোহিঙ্গাদের পেট ভাড়া করেই চালানো হচ্ছে পাচারকাজ। চালান প্রতি ২০ হাজার টাকায় মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গার দল পেটে করেই এপারে আনছে ইয়াবার চালান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার অফিসের সহকারি পরিচালক (এডি) সোমেন মণ্ডল এসব এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ব্যবহার করে ইয়াবা আনা হচ্ছে এমন সংবাদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীরা শুক্রবার সকালে নাফনদের তীরে অবস্থান নেয়। এসময় ইয়াবা বহনকারী সন্দেহে নদী পার হওয়া একদল রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। টেকনাফের হ্নীলা চৌধুরী পাড়ার নাফনদ তীরের একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীরা ২৬ জনকে আটক করে। তারা সবাই শুক্রবার ভোরে মিয়ানমার থেকে নৌকাযোগে এপারে এসে ঘরটিতে আশ্রয় নেয়।
সোমেন মণ্ডল আরও বলেন, ইয়াবা পাচারকালে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জন রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এরপরও থামছে না ইয়াবা পাচার। টাকার লোভে ইয়াবা বহনে যুক্ত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। চালান প্রতি ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে নাফনদের ওপার থেকে এপারে পেটে করে পাচার করছিল তারা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা জানান, আটক হওয়াদের মাঝে তিনজন বাংলাদেশি। অপর ২৩ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ২ নারী ও ৩ শিশুকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এক্স-রের মাধ্যমে ১৩ জনকে পেটে ইয়াবা বহনকারী হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনাক্ত হওয়া ১৩ রোহিঙ্গা শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত পেট থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা বের করেছে। এসব রোহিঙ্গারা স্বীকার করেছে, তারা জনপ্রতি এক ট্রিপে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইয়াবার চালান পাচার করছিল।
এ ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।