ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারো ৫৪ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য আবারো বেহাত হয়েছে। ২০১৮ সালে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর এটি ফেববুকের বড় আরো একটি কেলেঙ্কারি। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এটিকে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির সঙ্গেও তুলনা করছেন।

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না ফেসবুকের! এবারের কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ৫৪ কোটির বেশি ব্যবহারকারী। তাদের সবার ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে। কোনো পাসওয়ার্ড ছাড়াই অ্যামাজনের ক্লাউড সার্ভারে থাকা এসব তথ্য ডাউনলোডযোগ্য অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান আপগার্ড।

প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে জানায়, অ্যামাজন ক্লাউড সার্ভারে আবিষ্কৃত উন্মুক্ত তথ্যের সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এতে পৃথক দুটি ডাটাসেট ছিল। একটি ডাটাসেট মেক্সিকোর মিডিয়া কোম্পানি কালচুরা কালেকতিভার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেখানে ৫৪ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর তথ্য ছিল। এর মধ্যে কমেন্টস, লাইক, রিঅ্যাকশন, অ্যাকাউন্ট নেম, ফেসবুক আইডির তথ্য ছিল।

দ্বিতীয় ডাটাসেটটি ২০১৪ সালে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ফেসবুক অ্যাপ ‘অ্যাট দ্য পুলের। এখানে ২২ হাজারের বেশি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, বন্ধু তালিকা, ছবি, বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহের মতো স্পর্শকাতর তথ্য ছিল। অ্যামাজন ক্লাউড সার্ভারে এসব তথ্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত এবং ডাউনলোডযোগ্য অবস্থায় ছিল।

২০১৮ সালের ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে ‘দিস ইজ ইয়োর ডিজিটাল লাইফ’ নামে একটি থার্ডপার্টি ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে আরো অনেক তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অসংখ্য ব্যবহারকারীর তথ্য যে হাতিয়ে নেয়নি তার নিশ্চয়তা কি?

এবিষয়ে আপগার্ড আরো জানিয়েছে, অ্যামাজনের কাছে ওইসব তথ্য সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওইসব তথ্য অফলাইনে সংরক্ষণ বিষয়ে তারা অ্যামাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ৫৪ কোটি ব্যবহারকারীর ১৪৬ গিগাবাইটের ডাটাসেটটি গত বুধবারই নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ছোটটি আপগার্ডের তদন্ত চলাকালেই অফলাইনে নেয়া হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ফেসবুকের নিরাপত্তাগত ত্রুটির কারণে এসব তথ্য উন্মুক্ত হয়নি। তবে ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়াই তৃতীয় পক্ষের কাছে কীভাবে এত তথ্য স্থানান্তর হলো তা এখনো পরিষ্কার নয়।

ফেসবুকের মুখপাত্র আরো জানান, এ ব্যাপারে সর্তক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডেটা সেটগুলো নামিয়ে নিতে অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করেছে ফেইসবুক। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডালের পর থার্ডপার্টি অ্যাপগুলোর? উপরে ডেটা নেওয়া বা ডেটা শেয়ার করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফেইসবুক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

আবারো ৫৪ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত

আপডেট সময় ০৫:১৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য আবারো বেহাত হয়েছে। ২০১৮ সালে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর এটি ফেববুকের বড় আরো একটি কেলেঙ্কারি। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এটিকে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির সঙ্গেও তুলনা করছেন।

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না ফেসবুকের! এবারের কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ৫৪ কোটির বেশি ব্যবহারকারী। তাদের সবার ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে। কোনো পাসওয়ার্ড ছাড়াই অ্যামাজনের ক্লাউড সার্ভারে থাকা এসব তথ্য ডাউনলোডযোগ্য অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান আপগার্ড।

প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে জানায়, অ্যামাজন ক্লাউড সার্ভারে আবিষ্কৃত উন্মুক্ত তথ্যের সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এতে পৃথক দুটি ডাটাসেট ছিল। একটি ডাটাসেট মেক্সিকোর মিডিয়া কোম্পানি কালচুরা কালেকতিভার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেখানে ৫৪ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর তথ্য ছিল। এর মধ্যে কমেন্টস, লাইক, রিঅ্যাকশন, অ্যাকাউন্ট নেম, ফেসবুক আইডির তথ্য ছিল।

দ্বিতীয় ডাটাসেটটি ২০১৪ সালে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ফেসবুক অ্যাপ ‘অ্যাট দ্য পুলের। এখানে ২২ হাজারের বেশি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, বন্ধু তালিকা, ছবি, বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহের মতো স্পর্শকাতর তথ্য ছিল। অ্যামাজন ক্লাউড সার্ভারে এসব তথ্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত এবং ডাউনলোডযোগ্য অবস্থায় ছিল।

২০১৮ সালের ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে ‘দিস ইজ ইয়োর ডিজিটাল লাইফ’ নামে একটি থার্ডপার্টি ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে আরো অনেক তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ অসংখ্য ব্যবহারকারীর তথ্য যে হাতিয়ে নেয়নি তার নিশ্চয়তা কি?

এবিষয়ে আপগার্ড আরো জানিয়েছে, অ্যামাজনের কাছে ওইসব তথ্য সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওইসব তথ্য অফলাইনে সংরক্ষণ বিষয়ে তারা অ্যামাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ৫৪ কোটি ব্যবহারকারীর ১৪৬ গিগাবাইটের ডাটাসেটটি গত বুধবারই নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ছোটটি আপগার্ডের তদন্ত চলাকালেই অফলাইনে নেয়া হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ফেসবুকের নিরাপত্তাগত ত্রুটির কারণে এসব তথ্য উন্মুক্ত হয়নি। তবে ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়াই তৃতীয় পক্ষের কাছে কীভাবে এত তথ্য স্থানান্তর হলো তা এখনো পরিষ্কার নয়।

ফেসবুকের মুখপাত্র আরো জানান, এ ব্যাপারে সর্তক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডেটা সেটগুলো নামিয়ে নিতে অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করেছে ফেইসবুক। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডালের পর থার্ডপার্টি অ্যাপগুলোর? উপরে ডেটা নেওয়া বা ডেটা শেয়ার করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফেইসবুক।