ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর ভাতা পেলেন কাপ্তানের নেছা

মো: নাজিম উদ্দিনঃ

মুরাদনগর বার্তা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে “মুরাদনগরে ৮১ বছর বয়সে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বিধবা কাপ্তানের নেছা” শিরোনামে গত ১৯ মার্চ সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কতৃপক্ষের নজরে আসে এবং ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে বৃদ্ধা মহিলার হাতে ভাতার কার্ড ও টাকা তুলে দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বৃদ্ধা কাপ্তানের নেছার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন সমাজসেবা অফিসার কবির আহাম্মদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন মনির, সুমন সরকার, নাজিম উদ্দিন, সমাজসেবা অফিসের উচ্চমাণ সহকারী মোহাম্মদ আলী।

জানা যায়, গণমাধ্যমে এই সংবাদটি প্রকাশের পর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের নির্দেশনা এবং মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়মের সার্বিক সহযোগিতায় দ্রুত এই বৃদ্ধা মহিলার বয়স্কভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিস।

কাপ্তানের নেছা (৮১) মুরাদনগর মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত কেরামত আলীর স্ত্রী। ভাতার কার্ড পেয়ে তার চোখে মুখে হাসিঁ ফোটে উঠে। সাথে সাথে আল্লাহর কাছে দু-হাত তুলে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দোয়া করেন তিনি।

উল্লেখ্য, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড়  গ্রামের ১ মেয়ের জননী এই স্বামীহারা বৃদ্ধা কাপ্তানের নেছা ৮১বছর বয়সে ভিক্ষা করে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। বিধবা কাপ্তানের নেছার ভিটে মাটি বলতে কিছু নেই, থাকেন প্রতিবেশির একটি রান্না ঘরে। অসহায় দেখে রাতের বেলা রান্না ঘরে থাকার যায়গা দিয়েছে তার পাশের এক প্রতিবেশী। রাত পোহালে খাবারের সন্ধানে হাটতে থাকে এবাড়ী থেকে ওবাড়ী। বাড়ী বাড়ী হেটে যা পান তা খেয়ে কোনরকম দিন পার করেন এই বৃদ্ধা। এভাবেই মাণবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

কাপ্তানের নেছা বলেন, তার নিজস্ব কোন ভিটেমাটি নেই, নেই কোন আত্মীয় স্বজনও। সরকার থেকে যদি তাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা দিতো তাহলে তার কোন কষ্ট থাকতো না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর ভাতা পেলেন কাপ্তানের নেছা

আপডেট সময় ০২:০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯
মো: নাজিম উদ্দিনঃ

মুরাদনগর বার্তা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে “মুরাদনগরে ৮১ বছর বয়সে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বিধবা কাপ্তানের নেছা” শিরোনামে গত ১৯ মার্চ সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কতৃপক্ষের নজরে আসে এবং ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে বৃদ্ধা মহিলার হাতে ভাতার কার্ড ও টাকা তুলে দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বৃদ্ধা কাপ্তানের নেছার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন সমাজসেবা অফিসার কবির আহাম্মদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন মনির, সুমন সরকার, নাজিম উদ্দিন, সমাজসেবা অফিসের উচ্চমাণ সহকারী মোহাম্মদ আলী।

জানা যায়, গণমাধ্যমে এই সংবাদটি প্রকাশের পর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের নির্দেশনা এবং মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়মের সার্বিক সহযোগিতায় দ্রুত এই বৃদ্ধা মহিলার বয়স্কভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিস।

কাপ্তানের নেছা (৮১) মুরাদনগর মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত কেরামত আলীর স্ত্রী। ভাতার কার্ড পেয়ে তার চোখে মুখে হাসিঁ ফোটে উঠে। সাথে সাথে আল্লাহর কাছে দু-হাত তুলে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দোয়া করেন তিনি।

উল্লেখ্য, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড়  গ্রামের ১ মেয়ের জননী এই স্বামীহারা বৃদ্ধা কাপ্তানের নেছা ৮১বছর বয়সে ভিক্ষা করে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। বিধবা কাপ্তানের নেছার ভিটে মাটি বলতে কিছু নেই, থাকেন প্রতিবেশির একটি রান্না ঘরে। অসহায় দেখে রাতের বেলা রান্না ঘরে থাকার যায়গা দিয়েছে তার পাশের এক প্রতিবেশী। রাত পোহালে খাবারের সন্ধানে হাটতে থাকে এবাড়ী থেকে ওবাড়ী। বাড়ী বাড়ী হেটে যা পান তা খেয়ে কোনরকম দিন পার করেন এই বৃদ্ধা। এভাবেই মাণবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

কাপ্তানের নেছা বলেন, তার নিজস্ব কোন ভিটেমাটি নেই, নেই কোন আত্মীয় স্বজনও। সরকার থেকে যদি তাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা দিতো তাহলে তার কোন কষ্ট থাকতো না।