জাতীয় ডেস্কঃ
২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে অসম্মান করে বিএনপির এমপিরা জাতীয় সংসদে শপথ নিলে জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন। লোভে পড়ে জাতির সঙ্গে বেইমানি করার কোনো কাজে এলডিপি সমর্থন করবে না। ভোটারদের সঙ্গে অসম্মান করে যদি সংসদে যায় সেটা তিনি সমর্থন করবেন না।
বুধবার বিকেলে ডিওএইচএসের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে বিএনপির এমপিদের সংসদে যাওয়ার একটা কথাবার্তা হচ্ছে। এ বিষয়ে কর্নেল অলি বলেন, যদি এটা সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমি মনে করি কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেগম জিয়াকে ব্লাকমেইল করছে। আমি মনে করি কেউ লোভে বশীভূত হয়ে বেগম জিয়াকে ব্লাকমেইল করছে এবং বিএনপিকে বিপদগামী করছে।
তিনি বলেন, লোভ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করা কোনো কাজে এলডিপি কখনও সমর্থন করবে না। ১৮ কোটি ভোটারের সঙ্গে বেইমানি করে যদি সংসদে যায় সেটা আমি সমর্থন করবো না। যদি তারা সংসদে যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কি ব্যবস্থা নেবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তিনি বলেন, আমি মনে করি যেখানে ১৬ কোটি নির্যাতিত হয়েছে জাতি ধর্ম দল নির্বিশেষ, তাদের সেই নির্যাতন তাদের প্রতি যে অত্যাচার অবিচার করা হয়েছে, তাদেরকে অসম্মান করে সংসদে যাওয়াটা মানবিক, সামাজিক, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়। যে বা যারা যাবে তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। অলি আহমেদ বলেন, আমরা সবাই আল্লাকে বিশ্বাস করি। আল্লাহকে যারা বিশ্বাস করে না তারা কাফের ও বেঈমান। খালেদা জিয়ার ভাগ্যে যা লেখা আছে তা কেউ খণ্ডাতে পারবে না।
অলি বলেন, বেগম জিয়া আমার জানা মতে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেনি। তিনি সরাসরি যে বিষয়গুলোতে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তিনি সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জনকে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যারা ২০ দলে আছি, আমাদের চেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব শতগুণে বেশি। বিএনপি দেশের সর্ব বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তাদের সমর্থন দেশে ৬০ ভাগের ওপরে। এ অবস্থায় তারা এত অসহায় কেন আমার বোধগম্য নয়। আমি মিটিংয়ে বলেছি ১৬০/৭০জন সিনিয়র নেতা যদি আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে, তাদের পেছনে লাখ লাখ কর্মী থাকবে। আমরা যদি মনে করি- কর্মীরা মাঠে থাকবে, আর আমরা ঘরে থাকবো, তাহলে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।