ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামালে ব্যর্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

আকাশে সামান্য বিজলী চমকালেই বিদ্যুৎ শুন্য হয়ে পরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা। ঝড়ো হাওয়া হলে তো আর কথাই নেই! কয়েক দিন অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে হয় অনেক গ্রামবাসীকে।

গত ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনের ঝড়-তুফানে কোথাও ছিঁড়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। আবার কোথাও ভেঙে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। সাত দিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ৪২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। প্রাকৃতিক ওই দুর্যোগ সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। একদিকে নেই পূর্ব প্রস্তুতি অপরদিকে নেই পর্যাপ্ত জনবল।

কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ার বর্তমান যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া জনজীবন প্রায় অচল। আর সেই পরিস্থিতিতে কখনো ২৪ ঘণ্টা আবার কখনো ৭২ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে না পারলে জনজীবন যেন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন চার্জ শুন্য হয়ে পড়লে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে এ উপজেলার বাসিন্দাদের। প্রাকৃতিক ওই দুর্যোগ যেন সামাল দিতে ব্যর্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১।

চান্দিনা পৌরসভাধীন ছায়কোট এলাকার বাসিন্দা সাদেক হোসেন জানান, ৩১ মার্চ সন্ধ্যার পর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ওই রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ পাই। তারপর থেকে এ পর্যন্ত (৮ এপ্রিল) পাঁচ দিন ঝড়-তুফান হয়েছে। প্রতিবারের ঝড় তুফানে ১৫-২০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ পাই। ৬ এপ্রিল (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টায় ঝড়-তুফান শুরু হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরদিন রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে আকাশে মেঘ জমতেই বিদ্যুৎ উধাও। সকাল ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও ঝড় ছিল না। তারপরও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই ৬ ঘণ্টা।

দেবীদ্বার উপজেলার কুরছাপ, তালতলা, কুরুন, রাজামেহার, চান্দিনা উপজেলার আলিকামোড়া, টাটেরা, বরুড়া উপজেলার আদমসার, খোসবাসসহ অনেক গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ৩১ মার্চ রাতের পর থেকে তারা গড়ে ৪০-৫০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।

চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, এই মৌসুমে ঝড়-তুফান হবে এটাই স্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে দেখা যাচ্ছে ঝড়-তুফানের পর কোথায় সমস্যা হচ্ছে তাই যেন খুঁজে পায় না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয়ে দক্ষ ও প্রবীণ প্রকৌশলী না থাকায় বেশ বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয় চান্দিনা উপজেলা সদরে। এ কার্যালয় থেকে কুমিল্লার চান্দিনা-দেবীদ্বার-মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। এ চার উপজেলায় রয়েছে ১০টি সাবস্টেশন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কয়েক দিনেও সংযোগ চালু করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে সবগুলো সাব স্টেশনের বিরুদ্ধেই।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান গ্রিড রয়েছে বুড়িচং উপজেলার দেবপুরে। ওই গ্রিড থেকে যে সংযোগটি চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয়ে এসেছে ঝড়-তুফানে প্রায়ই ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে প্রধান ওই সংযোগটি। আর যখনই ওই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় তখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় চান্দিনাসহ চার উপজেলা।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই সমিতির অধীনে চার উপজেলায় ১০টি সাব স্টেশনে ৭ জন ইঞ্জিনিয়ার ও ৯ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র রয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা চালু করার ক্ষেত্রে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা বেশি। তবে ওই ৯ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে কর্ম দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কম থাকায় সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম-কম) মো. তৌহিদ খান জানান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের অধীনে কাজ করে লাইনম্যান। আমাদের ১০টি সাব স্টেশনে ১২৮ জন লাইনম্যান থাকলেও আরো ৩৯ জন সংকট রয়েছে। ওই সংকট পূরণ হলে সংস্কার কাজ আরো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি সব সময়ই থাকে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে লাইনের উপর থাকা গাছ ও ডাল-পালা কেটে দেওয়ার কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ৩১ মার্চ থেকে মনে হচ্ছে সিরিজ টর্নেডো হচ্ছে। যা মোকাবেলায় আমাদের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ৪টি উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আমাদের বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। যেখানে ১ লাখ ২০ হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। ‘ইউরিক’ প্রকল্প থেকে ঝুঁকিপূর্ণ খুটি ও তার পরিবর্তন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আমরা ২ হাজার ৫শ ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি পরিবর্তন করেছি। ওই প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামালে ব্যর্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১

আপডেট সময় ০৪:৩১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

আকাশে সামান্য বিজলী চমকালেই বিদ্যুৎ শুন্য হয়ে পরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা। ঝড়ো হাওয়া হলে তো আর কথাই নেই! কয়েক দিন অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে হয় অনেক গ্রামবাসীকে।

গত ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনের ঝড়-তুফানে কোথাও ছিঁড়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। আবার কোথাও ভেঙে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। সাত দিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ৪২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। প্রাকৃতিক ওই দুর্যোগ সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। একদিকে নেই পূর্ব প্রস্তুতি অপরদিকে নেই পর্যাপ্ত জনবল।

কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ার বর্তমান যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া জনজীবন প্রায় অচল। আর সেই পরিস্থিতিতে কখনো ২৪ ঘণ্টা আবার কখনো ৭২ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে না পারলে জনজীবন যেন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন চার্জ শুন্য হয়ে পড়লে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে এ উপজেলার বাসিন্দাদের। প্রাকৃতিক ওই দুর্যোগ যেন সামাল দিতে ব্যর্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১।

চান্দিনা পৌরসভাধীন ছায়কোট এলাকার বাসিন্দা সাদেক হোসেন জানান, ৩১ মার্চ সন্ধ্যার পর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ওই রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ পাই। তারপর থেকে এ পর্যন্ত (৮ এপ্রিল) পাঁচ দিন ঝড়-তুফান হয়েছে। প্রতিবারের ঝড় তুফানে ১৫-২০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ পাই। ৬ এপ্রিল (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টায় ঝড়-তুফান শুরু হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরদিন রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে আকাশে মেঘ জমতেই বিদ্যুৎ উধাও। সকাল ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও ঝড় ছিল না। তারপরও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই ৬ ঘণ্টা।

দেবীদ্বার উপজেলার কুরছাপ, তালতলা, কুরুন, রাজামেহার, চান্দিনা উপজেলার আলিকামোড়া, টাটেরা, বরুড়া উপজেলার আদমসার, খোসবাসসহ অনেক গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ৩১ মার্চ রাতের পর থেকে তারা গড়ে ৪০-৫০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।

চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, এই মৌসুমে ঝড়-তুফান হবে এটাই স্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে দেখা যাচ্ছে ঝড়-তুফানের পর কোথায় সমস্যা হচ্ছে তাই যেন খুঁজে পায় না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয়ে দক্ষ ও প্রবীণ প্রকৌশলী না থাকায় বেশ বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয় চান্দিনা উপজেলা সদরে। এ কার্যালয় থেকে কুমিল্লার চান্দিনা-দেবীদ্বার-মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। এ চার উপজেলায় রয়েছে ১০টি সাবস্টেশন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কয়েক দিনেও সংযোগ চালু করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে সবগুলো সাব স্টেশনের বিরুদ্ধেই।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান গ্রিড রয়েছে বুড়িচং উপজেলার দেবপুরে। ওই গ্রিড থেকে যে সংযোগটি চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয়ে এসেছে ঝড়-তুফানে প্রায়ই ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে প্রধান ওই সংযোগটি। আর যখনই ওই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় তখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় চান্দিনাসহ চার উপজেলা।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই সমিতির অধীনে চার উপজেলায় ১০টি সাব স্টেশনে ৭ জন ইঞ্জিনিয়ার ও ৯ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র রয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা চালু করার ক্ষেত্রে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা বেশি। তবে ওই ৯ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে কর্ম দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কম থাকায় সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম-কম) মো. তৌহিদ খান জানান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের অধীনে কাজ করে লাইনম্যান। আমাদের ১০টি সাব স্টেশনে ১২৮ জন লাইনম্যান থাকলেও আরো ৩৯ জন সংকট রয়েছে। ওই সংকট পূরণ হলে সংস্কার কাজ আরো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি সব সময়ই থাকে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে লাইনের উপর থাকা গাছ ও ডাল-পালা কেটে দেওয়ার কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ৩১ মার্চ থেকে মনে হচ্ছে সিরিজ টর্নেডো হচ্ছে। যা মোকাবেলায় আমাদের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ৪টি উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আমাদের বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। যেখানে ১ লাখ ২০ হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। ‘ইউরিক’ প্রকল্প থেকে ঝুঁকিপূর্ণ খুটি ও তার পরিবর্তন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আমরা ২ হাজার ৫শ ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি পরিবর্তন করেছি। ওই প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।