ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বর্জ্য কোনো সমস্যা নয়, বর্জ্যই সম্পদ’

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

গৃহস্থালির বর্জ্য দিয়েই জ্বালানি তেল,পেট্রোলিয়াম গ্যাস, ড্রাই আইস, বায়ো ইথানল, এক্টিভেটেড কার্বন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও জৈব সার তৈরি সম্ভব। এমনই যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ণ ও কেমিকৌশল বিভাগের দুই তরুণ শিক্ষার্থী। তারা হলেন এ এম রঞ্জু এবং পীযুষ দত্ত। তারা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উক্ত গবেষণা করে আসছে। তাদের এই কার্যক্রমে সাহায্য করেছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তছলিম উর রশিদ এবং প্রভাষক মো. সাজেদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ এডভান্স রোবটিকস এর জিমি মজুমদার।

 

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত জ্বালানি তেল- মোটরযান, শিল্প কারখানার জালানি হিসেবে, পেট্রোলিয়াম গ্যাস- বাসা বাড়ির রান্নার কাজে, ড্রাই আইস – অগ্নি নির্বাপন, খাবার সংরক্ষণ, কোমল পানিয়, আইসক্রিম প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়। বায়ো ইথানল – এটা একটা পরিবেশ বন্ধব জালানি যা মোটরযানের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায় । এক্টিভেটেড কার্বন- কসমেটিকস, পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টারিংয়ে ব্যবহার করা হয়। হাইড্রোক্লোরিক এসিড- ল্যবরেটরি ও শিল্প কারখানার ব্যবহার করা হয়। জৈব সার- উক্ত জৈবসারে উদ্ভিদের মৌলিক খনিজ উপাদানের শতকরা হার অনেক বেশি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে (সাজিদুল ইসলাম, প্রভাষক : ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি এবং আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর অধ্যাপক তছলিম উর রশিদ এই গবেষণায় এইচ এম রনজু এবং পীযুষ দত্তকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছি। যাতে তারা তাদের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিতে পারে। তাদের এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলকে আমি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছি এবং তাদের নমুনা প্লান্ট থেকে উৎপাদিত পন্য গুলো আমাদের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখেছি এবং এতে সন্তোষ জনক ফলাফল এসেছে। আমি মনে করি তাদের এই প্রযুক্তি বৃহৎ পরিসরে করা সম্ভব।’

এ বিষয়ে গবেষণাকারী আরো বলেন, ‘আমরা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পেটেন্ট নিয়েছি এবং গতবছর আইসিটি ডিভিশন এ সাবমিট করেছি। আমরা একটা বিজনেস প্লান ও দাঁড় করিয়েছি যাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিঠান গুলো ও অর্থায়ন করতে পারে কারণ এটা একই সাথে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

‘বর্জ্য কোনো সমস্যা নয়, বর্জ্যই সম্পদ’

আপডেট সময় ০৯:১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

গৃহস্থালির বর্জ্য দিয়েই জ্বালানি তেল,পেট্রোলিয়াম গ্যাস, ড্রাই আইস, বায়ো ইথানল, এক্টিভেটেড কার্বন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও জৈব সার তৈরি সম্ভব। এমনই যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ণ ও কেমিকৌশল বিভাগের দুই তরুণ শিক্ষার্থী। তারা হলেন এ এম রঞ্জু এবং পীযুষ দত্ত। তারা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উক্ত গবেষণা করে আসছে। তাদের এই কার্যক্রমে সাহায্য করেছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তছলিম উর রশিদ এবং প্রভাষক মো. সাজেদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ এডভান্স রোবটিকস এর জিমি মজুমদার।

 

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত জ্বালানি তেল- মোটরযান, শিল্প কারখানার জালানি হিসেবে, পেট্রোলিয়াম গ্যাস- বাসা বাড়ির রান্নার কাজে, ড্রাই আইস – অগ্নি নির্বাপন, খাবার সংরক্ষণ, কোমল পানিয়, আইসক্রিম প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়। বায়ো ইথানল – এটা একটা পরিবেশ বন্ধব জালানি যা মোটরযানের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায় । এক্টিভেটেড কার্বন- কসমেটিকস, পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টারিংয়ে ব্যবহার করা হয়। হাইড্রোক্লোরিক এসিড- ল্যবরেটরি ও শিল্প কারখানার ব্যবহার করা হয়। জৈব সার- উক্ত জৈবসারে উদ্ভিদের মৌলিক খনিজ উপাদানের শতকরা হার অনেক বেশি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে (সাজিদুল ইসলাম, প্রভাষক : ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি এবং আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর অধ্যাপক তছলিম উর রশিদ এই গবেষণায় এইচ এম রনজু এবং পীযুষ দত্তকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছি। যাতে তারা তাদের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিতে পারে। তাদের এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলকে আমি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছি এবং তাদের নমুনা প্লান্ট থেকে উৎপাদিত পন্য গুলো আমাদের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখেছি এবং এতে সন্তোষ জনক ফলাফল এসেছে। আমি মনে করি তাদের এই প্রযুক্তি বৃহৎ পরিসরে করা সম্ভব।’

এ বিষয়ে গবেষণাকারী আরো বলেন, ‘আমরা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পেটেন্ট নিয়েছি এবং গতবছর আইসিটি ডিভিশন এ সাবমিট করেছি। আমরা একটা বিজনেস প্লান ও দাঁড় করিয়েছি যাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিঠান গুলো ও অর্থায়ন করতে পারে কারণ এটা একই সাথে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।’