ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে সালিশের নামে ডেকে নিয়ে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় মেয়েকে শ^শুর বাড়ি থেকে আনতে না পেরে সালিশী বৈঠকের ঘটনা সাজিয়ে মেয়ের নানা শ^শুর আব্দুল খালেক(৭৫) কে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খালেক মিয়ার ছেলে সোহেল চৌধুরী বাদল বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুল খালেক মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে মিনুয়ারা বেগমের ছেলে রাব্বি ও আমার পাশের বাড়ির ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের মেয়ের সাথে প্রায় ৩ বছর পূর্বে সর্ম্পক করে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি তিন মাসের একটি সন্তান রয়েছে। উভয়ের দাম্পত্য জীবন সুখে-শান্তিতে চলছিল। কাষেম গত রবিবার দুপুরে তার মেয়েকে বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার উজানচর শ^শুর বাড়ী থেকে আনতে গেলে তার শ^শুর-স্বাশুড়ী অসুস্থ থাকায় তাদের পুত্রবধূকে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে কাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে পর দিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে আসে। কাশেম এলাকায় ফিরে ওই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) রহিমের মাধ্যমে রাব্বির নানা খালেক মিয়াকে সন্ধ্যা ৭টায়  রামচন্দ্রপুর এলাকার স্থানীয় মাতব্বর হাজী ফুল মিয়ার বাড়িতে ডেকে নেয়। কাশেম মিয়ার মেয়েকে তার শ^শুর বাড়িতে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগে সেখানে তাকে জুতা পেটাসহ শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সোমবার সকাল ৯টায় খালেক মিয়াকে আবারও ডেকে নিয়ে পূণরায় মারধর করে জোড়পূর্বক রোযা থাকা অবস্থায় চা পান করায়। সেখান থেকে বাড়ী ফিরে সকাল ১০টার দিকে খালেক মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বলে ফুল মিয়া হাজীর বাড়ীতে আমাকে জোরকরে চায়ের সাথে কী যেন খাইয়ে দিয়েছে? আমি আর বাচঁবনা! তা বলে তার মৃত্যু হয়। পরে সোমবার রাতে ছেলে সোহেল চৌধুরী বাদল বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত আবুল কাশেমের বাড়ীতে গিয়ে না পেয়ে তার মোবাইল ফোন ০১৮৮৫৩৬৭৬৫৪ নাম্বারে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুল মিয়া হাজী তার বাড়িতে সালিশের বিষয়টি স্বীকার করলেও মারধর ও খাওয়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কাশেমের মেয়েকে না দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে বিচার আসলে, খালেক মিয়াকে আমার বাড়ীতে ডেকে এনে তার নাতী বৌকে বাবার বাড়িতে পাঠানোর কথা বলে এর পরদিন সোমবার সকালে আমি ঢাকা চলে আসি।

এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান সালিশে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মারধরের ঘটনার অপমান সইতে না পেরেই বিষ খেয়ে অত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্র আন্দেলনে আহতদের হাসপাতালে দেখে উপদেষ্টারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া উচিত –কায়কোবাদ

মুরাদনগরে সালিশের নামে ডেকে নিয়ে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০১৯
মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় মেয়েকে শ^শুর বাড়ি থেকে আনতে না পেরে সালিশী বৈঠকের ঘটনা সাজিয়ে মেয়ের নানা শ^শুর আব্দুল খালেক(৭৫) কে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খালেক মিয়ার ছেলে সোহেল চৌধুরী বাদল বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুল খালেক মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে মিনুয়ারা বেগমের ছেলে রাব্বি ও আমার পাশের বাড়ির ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের মেয়ের সাথে প্রায় ৩ বছর পূর্বে সর্ম্পক করে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি তিন মাসের একটি সন্তান রয়েছে। উভয়ের দাম্পত্য জীবন সুখে-শান্তিতে চলছিল। কাষেম গত রবিবার দুপুরে তার মেয়েকে বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার উজানচর শ^শুর বাড়ী থেকে আনতে গেলে তার শ^শুর-স্বাশুড়ী অসুস্থ থাকায় তাদের পুত্রবধূকে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে কাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে পর দিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে আসে। কাশেম এলাকায় ফিরে ওই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) রহিমের মাধ্যমে রাব্বির নানা খালেক মিয়াকে সন্ধ্যা ৭টায়  রামচন্দ্রপুর এলাকার স্থানীয় মাতব্বর হাজী ফুল মিয়ার বাড়িতে ডেকে নেয়। কাশেম মিয়ার মেয়েকে তার শ^শুর বাড়িতে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগে সেখানে তাকে জুতা পেটাসহ শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সোমবার সকাল ৯টায় খালেক মিয়াকে আবারও ডেকে নিয়ে পূণরায় মারধর করে জোড়পূর্বক রোযা থাকা অবস্থায় চা পান করায়। সেখান থেকে বাড়ী ফিরে সকাল ১০টার দিকে খালেক মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বলে ফুল মিয়া হাজীর বাড়ীতে আমাকে জোরকরে চায়ের সাথে কী যেন খাইয়ে দিয়েছে? আমি আর বাচঁবনা! তা বলে তার মৃত্যু হয়। পরে সোমবার রাতে ছেলে সোহেল চৌধুরী বাদল বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত আবুল কাশেমের বাড়ীতে গিয়ে না পেয়ে তার মোবাইল ফোন ০১৮৮৫৩৬৭৬৫৪ নাম্বারে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুল মিয়া হাজী তার বাড়িতে সালিশের বিষয়টি স্বীকার করলেও মারধর ও খাওয়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কাশেমের মেয়েকে না দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে বিচার আসলে, খালেক মিয়াকে আমার বাড়ীতে ডেকে এনে তার নাতী বৌকে বাবার বাড়িতে পাঠানোর কথা বলে এর পরদিন সোমবার সকালে আমি ঢাকা চলে আসি।

এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান সালিশে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মারধরের ঘটনার অপমান সইতে না পেরেই বিষ খেয়ে অত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।