আবুল খায়ের:
রোজ বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের বাথা জামাল কমার্শিয়াল মার্কেটে ইথিওপিয়ার এক নাগরিক ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল হালিম পাঠানের কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের বাড়ি ও কুমিল্লা নগরীর মুরাদপুরের বাসায় চলছে শোকের মাতম। নিহত হালিমের বন্ধুরা মোবাইল ফোনে বুধবার রাত ১১টার দিকে বাংলাদেশে তার পরিবারের নিকট হত্যাকান্ডের বিষয়টি অবহিত করে। এ ঘটনায় আরো চার বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জসিম উদ্দীনের অবস্থা গুরুতর। তাকে রিয়াদের সিমোসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত হালিম মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার পুত্র এবং আল রাজী ব্যাংক রিয়াদ শাখার কর্মকর্তা।
আহতরা হলেন, ফেনীর জসিম উদ্দীন, একই জেলার ফুলগাজী উপজেলায় নজরুল ইসলাম, ঢাকার ইকবাল হোসেন ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মোতালেব হোসেন।
নিহত হালিমের বড় ভাই ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম জানান, স্থানীয় সময় গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিয়াদের বাথাহ এলাকার জামাল কমার্শিয়াল মার্কেটের একটি মোবাইল দোকানে প্রবেশ করে ছিনতাইকারীরা দোকানের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় হাতাহাতির একপর্যায়ে ওই দোকানে অবস্থানরত আব্দুল হালিম পাঠান ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে হালিমকে রিয়াদের সিমেছি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত হালিম রিয়াদের আল রাজী ব্যাংকে চাকুরী করতেন, ঘটনার কিছুক্ষন আগে তিনি তার বন্ধুর ওই মোবাইল দোকানে আসার পর ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হন।
নিহত হালিমের স্ত্রী ছবি আক্তার জানান, তার আবদুল্লাহ আল সামির নামে এক ছেলে এবং সুমাইয়া আফরিন সামিয়া নামে এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে হালিম সৌদি আরবে গিয়েছিল। তিনি কুমিল্লা মহানগরীর ২য় মুরাদপুর এলাকায় সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। হালিমের অনাকাংখিত এ নিহত হওয়ার খবরে স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের স্বজনরা অবিলম্বে সরকারীভাবে তার লাশ দেশে ফেরৎ আনাসহ সৌদি সরকারের নিকট যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।