ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিলোগ্রামের পর এবার বদলে যাচ্ছে সেকেন্ডও!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি একটি সিলিন্ডার আকৃতির সংকর ধাতবের ওজনকে এতোদিন এক কেজি ধরা হতো। কিন্তু এ বছর বিশ্ব ওজন দিবস থেকে বদলে গেছে কিলোগ্রামের সংজ্ঞা। বিজ্ঞানীরা এবার ভাবছেন, কিলোগ্রামের মতো সেকেন্ডকে আরো নিখুঁতভাবে পরিমাপের জন্য বদলে ফেলার কথা। সেকেন্ডকে আরো নিখুঁতভাবে মাপার ব্যবস্থা করতে চান বিজ্ঞানীরা। এটি করা সম্ভব হলে সিজিয়াম ঘড়ির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি নিখুঁতভাবে এক সেকেন্ডকে মাপা হবে।

 

সিজিয়ামের ঘড়িতে আলোর ৯১৯,২৬,৩১,৭৭০ বার স্পন্দন বা দোলনের কালকে এক সেকেন্ড ধরা হয়। কিন্তু পরবর্তী কালে তৈরি হওয়া ‘অপটিক্যাল অ্যাটমিক ক্লক’ অনেক বেশি নিখুঁত সময় দিচ্ছে। কলোরাডোর বোল্ডারের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি’-র পদার্থবিদ অ্যান্ড্রু লাডলোরের মতে, এই ঘড়িতে কম্পাঙ্ক অনেক বেশি। ফলে ঘড়ির প্রতিটি টিক অনেক কাছাকাঠি। ফলে এই ঘড়িতে সিজিয়াম ঘড়ির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি নিখুঁতভাবে এক সেকেন্ডকে মাপা যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সব ধাপ পেরিয়ে বদলটা হয়তো ঘটবে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ।

এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে ফ্রান্সের ভার্সাইয়ে ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক এক সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা কিলোগ্রামের সংজ্ঞা পরিবর্তন করেন। ১৮৮৯ সাল থেকে ‘ল্য গ্রঁদ কে’ নামের ওই ধাতব সংকরের ভিত্তিতে পৃথিবীজুড়ে এক কেজির পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে আসছিল। অবশেষে ১৩০ বছর পর গত সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে কিলোগ্রামের নতুন সংজ্ঞা। -আনন্দবাজার পত্রিকা

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

কিলোগ্রামের পর এবার বদলে যাচ্ছে সেকেন্ডও!

আপডেট সময় ১০:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি একটি সিলিন্ডার আকৃতির সংকর ধাতবের ওজনকে এতোদিন এক কেজি ধরা হতো। কিন্তু এ বছর বিশ্ব ওজন দিবস থেকে বদলে গেছে কিলোগ্রামের সংজ্ঞা। বিজ্ঞানীরা এবার ভাবছেন, কিলোগ্রামের মতো সেকেন্ডকে আরো নিখুঁতভাবে পরিমাপের জন্য বদলে ফেলার কথা। সেকেন্ডকে আরো নিখুঁতভাবে মাপার ব্যবস্থা করতে চান বিজ্ঞানীরা। এটি করা সম্ভব হলে সিজিয়াম ঘড়ির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি নিখুঁতভাবে এক সেকেন্ডকে মাপা হবে।

 

সিজিয়ামের ঘড়িতে আলোর ৯১৯,২৬,৩১,৭৭০ বার স্পন্দন বা দোলনের কালকে এক সেকেন্ড ধরা হয়। কিন্তু পরবর্তী কালে তৈরি হওয়া ‘অপটিক্যাল অ্যাটমিক ক্লক’ অনেক বেশি নিখুঁত সময় দিচ্ছে। কলোরাডোর বোল্ডারের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি’-র পদার্থবিদ অ্যান্ড্রু লাডলোরের মতে, এই ঘড়িতে কম্পাঙ্ক অনেক বেশি। ফলে ঘড়ির প্রতিটি টিক অনেক কাছাকাঠি। ফলে এই ঘড়িতে সিজিয়াম ঘড়ির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি নিখুঁতভাবে এক সেকেন্ডকে মাপা যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সব ধাপ পেরিয়ে বদলটা হয়তো ঘটবে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ।

এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে ফ্রান্সের ভার্সাইয়ে ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক এক সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা কিলোগ্রামের সংজ্ঞা পরিবর্তন করেন। ১৮৮৯ সাল থেকে ‘ল্য গ্রঁদ কে’ নামের ওই ধাতব সংকরের ভিত্তিতে পৃথিবীজুড়ে এক কেজির পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে আসছিল। অবশেষে ১৩০ বছর পর গত সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে কিলোগ্রামের নতুন সংজ্ঞা। -আনন্দবাজার পত্রিকা