অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অত্যাশ্চর্য সব স্থাপনা নির্মাণ করে ইতোমধ্যে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে দুবাই। চলছে দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সুপারমল ‘দুবাই স্কয়ার’ নির্মাণের কাজও। দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণাধীন শপিংমলটি ২০২০ সালে চালু হলে সেটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শপিংমল। দুবাই স্কয়ার নিয়ে বিশ্ববাসীর কৌতূহলের মধ্যে এবার দুবাইয়ের সিটিল্যান্ড গ্রুপ নির্মাণ করছে প্রকৃতিঘেরা একটি শপিংমল!
সিটিল্যান্ড গ্রুপ সাধারণত বড় বড় ফুল বাগান গড়ে তোলে। এবার সেই ধারণার সাথে যোগ হচ্ছে শপিংমল তৈরির পরিকল্পনা। প্রকৃতিঘেরা এই শপিংমলটি গড়ে উঠবে কৃত্রিমভাবে তৈরি প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে। যেখানে শপিংমলের সব জায়গায় গুরুত্ব পাবে গাছপালা। মলে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা কিংবা ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের বাড়তি বিনোদনের খোরাক জোগাবে শপিংমলের গঠন কাঠামো।
শপিংমলটি তৈরির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার সাড়ে বা তিন হাজার কোটি টাকার মতো। শপিং মলের প্রায় দুই লাখ স্কয়ার ফুট এলাকাজুড়ে থাকবে বোটানিক্যাল গার্ডেন।
ক্রেতা, দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে এই দুই লাখ স্কয়ার জায়গার সবখানে থাকবে দুর্লভ প্রজাতির গাছপালা আর ফুলগাছ। এর বাইরে ‘নদী’ এবং দ্বীপপুঞ্জের সন্নিবেশও ঘটানো হবে এই শপিংমলে। এছাড়া প্রতিটি ভবনের ছাদে ছাদে থাকবে গাছের সমাহার।
সিটিল্যান্ড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ফাহিমুদ্দিন সরফুদ্দিনের মতে, প্রকৃতিকে ভিত্তি করে গড়ে তোলা হবে শপিংমলটি। এটি তৈরি করতে এবং এর ভেতরের সুযোগ সুবিধাকে নিশ্চিত করতে এমন সব উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে যা কি না প্রকৃতিবান্ধব হয়। পানির অপচয় রোধ করতে এবং বিদ্যুত সাশ্রয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে এই শপিংমলের।
সূর্যলোক থেকে বিদ্যুত্ তৈরি করে শপিংমলের কাজে লাগানোর জন্য থাকবে বিশেষ ধরনের সোলার প্যানেলও। ইতোমধ্যে গত ১২ মে শপিংমলটির অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে যা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে আগামী ২০২০ সালের শেষ নাগাদ।
শপিংমলে নিজেদের সরব উপস্থিতি জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মাতালান, রিভা ফ্যাশন, তুরস্কের ফ্যাশন হাউজ ইপিকয়েলের মতো ফ্যাশন জগতের নামকরা ব্রান্ডগুলো। ভক্স সিনেমা গ্রুপ ১০ স্ক্রিনের মুভি থিয়েটার চালু করবে। —সিএনএন