ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতাসে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের চেষ্টা, স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে বিতরণ

মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ 

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ঈদুল ফিতরকে ঘিরে অতি দরিদ্রদের জন্য সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির বরাদ্দের চাল আত্মসাতের চেষ্টা করে এক ইউপি চেয়ারম্যান। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ীর গ্যারেজ থেকে ২৬ বস্তা চাল আটক করে।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১জুন) বিকালে উপজেলার ২নং জগতপুর ইউনিয়নে। এবং আজ রবিবার আটককৃত চাল দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ নিশ্চিত করেছে স্থানী প্রশাসন ও সাংবাদকর্মীরা।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়,ঈদের আগে ওই ইউনিয়নের হতদরিদ্র ৬৮৪ পরিবারের মাঝে ১৫ কেজি করে ১০.২৬০(মেঃটন) চাল বরাদ্দ দেয়া হয় এবং ২০ রোজার মধ্যে চাল বিতরণের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। কিন্তু চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সঠিক সময়ে চাল বিতরণ না করে এবং ওজনে কম দিয়ে ২৬ বস্তা চাল তার বাড়িতে গাড়ীর গ্যারেজে নিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখে। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক, এটি এন নিউজ কুমিল্লা প্রতিনিধি, নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি নাজির মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার কামাল হোসেন চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা গ্যারেজে ৪ বস্তা এবং তার গাড়ীর গ্যারেজে ২০ বস্তা চাল দেখতে পায়। এসময় চেয়ারম্যানের ছেলে জিমি (১৮) সাংবাদিকদের উপস্থিতিথি তার ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারন করে। তখন নাজির মিজানুর রহমান নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাজেদুল ইসলামকে চাল আছে বিষয়টি নিশ্চিত করলে নির্বাহী অফিসার পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যায় এবং গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে চাল দেখতে পায়।

এছাড়াও আরো ৩০ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে না রেখে পাশের এক ছোট রুমে রাখা হয়েছে এমন খবরে নির্বাহী অফিসার ও সাংবাদিকরা পরিষদে গেলে চাবি নাই বলে চেয়ারম্যানের ছেলে রুমটি খুলে দেখায়নি। কি কারনে চাল বাড়িতে রাখা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন কিছু কার্ডধারী বাকী রয়েছে তাদেরকে দেয়ার জন্য বাড়িতে এনে রেখেছি আগামীকাল তা বিতরণ করা হবে। ট্যাগ অফিসার কামাল হোসেন বলেন আমাকে বলেছে কিছু চাল আছে, এগুলো তার বাড়ি থেকে বিতরণ করা হবে বলে আমাকে জানিয়েছে।

এদিকে কি কারনে আটককৃত চাল জব্দ করা হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু কিছু কার্ডধারী এখনও চাল পায়নি এবং দরিদ্রদের প্রাপ্ততা নিশ্চিত করতে চাল জব্দ করিনি এবং আজ রবিবার সকালে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে  চাল না পাওয়া কার্ডধারী দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ নিশ্চিত করি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

তিতাসে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের চেষ্টা, স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে বিতরণ

আপডেট সময় ১০:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ 

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ঈদুল ফিতরকে ঘিরে অতি দরিদ্রদের জন্য সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির বরাদ্দের চাল আত্মসাতের চেষ্টা করে এক ইউপি চেয়ারম্যান। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ীর গ্যারেজ থেকে ২৬ বস্তা চাল আটক করে।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১জুন) বিকালে উপজেলার ২নং জগতপুর ইউনিয়নে। এবং আজ রবিবার আটককৃত চাল দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ নিশ্চিত করেছে স্থানী প্রশাসন ও সাংবাদকর্মীরা।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়,ঈদের আগে ওই ইউনিয়নের হতদরিদ্র ৬৮৪ পরিবারের মাঝে ১৫ কেজি করে ১০.২৬০(মেঃটন) চাল বরাদ্দ দেয়া হয় এবং ২০ রোজার মধ্যে চাল বিতরণের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। কিন্তু চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সঠিক সময়ে চাল বিতরণ না করে এবং ওজনে কম দিয়ে ২৬ বস্তা চাল তার বাড়িতে গাড়ীর গ্যারেজে নিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখে। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক, এটি এন নিউজ কুমিল্লা প্রতিনিধি, নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি নাজির মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার কামাল হোসেন চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা গ্যারেজে ৪ বস্তা এবং তার গাড়ীর গ্যারেজে ২০ বস্তা চাল দেখতে পায়। এসময় চেয়ারম্যানের ছেলে জিমি (১৮) সাংবাদিকদের উপস্থিতিথি তার ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারন করে। তখন নাজির মিজানুর রহমান নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাজেদুল ইসলামকে চাল আছে বিষয়টি নিশ্চিত করলে নির্বাহী অফিসার পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যায় এবং গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে চাল দেখতে পায়।

এছাড়াও আরো ৩০ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে না রেখে পাশের এক ছোট রুমে রাখা হয়েছে এমন খবরে নির্বাহী অফিসার ও সাংবাদিকরা পরিষদে গেলে চাবি নাই বলে চেয়ারম্যানের ছেলে রুমটি খুলে দেখায়নি। কি কারনে চাল বাড়িতে রাখা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন কিছু কার্ডধারী বাকী রয়েছে তাদেরকে দেয়ার জন্য বাড়িতে এনে রেখেছি আগামীকাল তা বিতরণ করা হবে। ট্যাগ অফিসার কামাল হোসেন বলেন আমাকে বলেছে কিছু চাল আছে, এগুলো তার বাড়ি থেকে বিতরণ করা হবে বলে আমাকে জানিয়েছে।

এদিকে কি কারনে আটককৃত চাল জব্দ করা হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু কিছু কার্ডধারী এখনও চাল পায়নি এবং দরিদ্রদের প্রাপ্ততা নিশ্চিত করতে চাল জব্দ করিনি এবং আজ রবিবার সকালে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে  চাল না পাওয়া কার্ডধারী দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ নিশ্চিত করি