ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতাসে ছয় হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে ৯০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ

কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিতাসের ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার দুঃস্থ ও অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রায় ৯০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে ভিজিএফ এর আওতায় পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে এ চাল বিতরণ কার্যক্রম রবিবার সমাপ্তি হয়েছে। তবে খাদ্য গুদাম থেকে ইউপি ভবন পর্যন্ত উক্ত চাল সরবরাহের কোন খচর প্রদান করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতানী ইউনিয়নে ৫০০টি, জগতপুর ইউনিয়নে ৬৮৪টি, বলরামপুর ইউনিয়নে ৭৮০টি, কড়িকান্দি ইউনিয়নে ৬৭৫টি, কলাকান্দি ইউনিয়নে ৪০৮টি, ভিটিকান্দি ইউনিয়নে ৮২৪টি, নারান্দিয়া ইউনিয়নে ৫৪১টি, জিয়ারকান্দি ইউনিয়নে ৫৯৬টি ও মজিদপুর ইউনিয়নে ৯৮৫টি পরিবারে মাঝে প্রায় ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এ চাল বিতরণ কার্যক্রম চলে। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়।
রবিবার সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও কেশবপুর গ্রামে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও প্রশাসন থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ কামাল হোসেন। ওদিন উক্ত ইউনিয়নের ১ ও ৮নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়।

মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যার ফারুক মিয়া সরকার, সাতানী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক সরকার ও নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. সালাহ উদ্দিন বলেন, সরকারী নিদের্শনা মেনে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে প্রতিটি ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মাঝে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এ চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বলরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নূরনবী বলেন, প্রতি বছর দুই ঈদের পূর্বে ভিজিএফ এর আওতায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়। তবে হোমনার খাদ্য গুদাম থেকে তিতাসের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে চাল সরবরাহে কোন খরচ পাওয়া যায় না। প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানকে খাদ্য গুদামে নির্দিষ্ট অংকের টাকা, ট্রাকে চাল উঠানো ও নামানো এবং ট্রাক ভাড়ার খরচ নিজ পকেট থেকে বহন করতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত চাল সরবরাহের খরচ মাঝে মাঝে দেওয়া হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

তিতাসে ছয় হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে ৯০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ

আপডেট সময় ০২:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিতাসের ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার দুঃস্থ ও অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রায় ৯০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে ভিজিএফ এর আওতায় পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে এ চাল বিতরণ কার্যক্রম রবিবার সমাপ্তি হয়েছে। তবে খাদ্য গুদাম থেকে ইউপি ভবন পর্যন্ত উক্ত চাল সরবরাহের কোন খচর প্রদান করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতানী ইউনিয়নে ৫০০টি, জগতপুর ইউনিয়নে ৬৮৪টি, বলরামপুর ইউনিয়নে ৭৮০টি, কড়িকান্দি ইউনিয়নে ৬৭৫টি, কলাকান্দি ইউনিয়নে ৪০৮টি, ভিটিকান্দি ইউনিয়নে ৮২৪টি, নারান্দিয়া ইউনিয়নে ৫৪১টি, জিয়ারকান্দি ইউনিয়নে ৫৯৬টি ও মজিদপুর ইউনিয়নে ৯৮৫টি পরিবারে মাঝে প্রায় ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এ চাল বিতরণ কার্যক্রম চলে। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়।
রবিবার সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও কেশবপুর গ্রামে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও প্রশাসন থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ কামাল হোসেন। ওদিন উক্ত ইউনিয়নের ১ ও ৮নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়।

মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যার ফারুক মিয়া সরকার, সাতানী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক সরকার ও নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. সালাহ উদ্দিন বলেন, সরকারী নিদের্শনা মেনে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে প্রতিটি ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মাঝে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এ চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বলরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নূরনবী বলেন, প্রতি বছর দুই ঈদের পূর্বে ভিজিএফ এর আওতায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়। তবে হোমনার খাদ্য গুদাম থেকে তিতাসের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে চাল সরবরাহে কোন খরচ পাওয়া যায় না। প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানকে খাদ্য গুদামে নির্দিষ্ট অংকের টাকা, ট্রাকে চাল উঠানো ও নামানো এবং ট্রাক ভাড়ার খরচ নিজ পকেট থেকে বহন করতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত চাল সরবরাহের খরচ মাঝে মাঝে দেওয়া হয়।