বিনোদন ডেস্কঃ
সুমন আনোয়ারের রচনা ও পরিচালনায় টেলিফিল্ম ‘অন্ধকার ঢাকা’ বাংলাভিশনে প্রচার হবে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে। টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, জাকিয়া বারি মম, শ্যামল মাওলা প্রমুখ।
সন্ধ্যার পর ‘অন্ধকার ঢাকা’এমন একটা শহর যেখানে টাকা আর ক্ষমতা হলে সবকিছু করা সম্ভব। সেই সম্ভবের দুনিয়ায় সুপারহিরো নাজিরা বাজারের ‘জনি’। জনি চাইলে অন্ধকার ঢাকায় সকালের আগেও সূর্য ওঠে, পাখি গান গায়। জনির গানের পাখি গুলিস্থানে বারের হটগার্ল ‘পরী’। পরীর গানের গলায় বুঁদ হওয়া সেই সুপারহিরো জনিকে জাগিয়ে তোলে ডিবি পুলিশ অফিসার টিটু। ওপরের ক্ষমতা বদলে ঘুরে যায় নাজিরা বাজারের চেহারা। পুলিশ অফিসার টিটুর উৎপাতে আজকাল দিনের আলোও অন্ধকার রাত মনে হয় জনির কাছে। আর জনির নতুন অন্ধকার জীবনের চাপে নাজিরা বাজারে উত্থান ঘটে কালার। কালা নতুন ক্ষমতার প্রতিনিধি। নিরব সংঘাত চলতে থাকে কালা ও জনির দলের লোকের ভেতর। দিশেহারা হয়ে পড়ে জনি, হঠাৎ তার মাথায় আসে পরীর কথা। জমে ওঠে পরী ও কালার বন্ধুত্ব। টিটু হিসেব মেলাতে পারে না। হঠাৎ গুলিস্থান বারে টিটু উপস্থিত হলে পরী তাকে কিনতে চেষ্টা করে নাচে আর গানে। টিটু পরীকে প্রশ্রয় দেয় জনিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু পরী আসলে কার?
কার হয়ে কাজ করছে পরী, জনি, কালা, নাকি টিটুর জন্য। নেশা কখনো কখনো পরীকে খেয়ে ফেলে। তেমনই এক নেশার সময়ে উল্টে যায় পরীর চাল। জনির সমস্ত গোপন জেনে যায় পুলিশ অফিসার টিটু। আয়োজন চলতে থাকে লুকিয়ে থাকা জনিকে গ্রেফতারের। কিন্তু পুলিশ অফিসার টিটুর আগেই সেখানে হামলা করে কালা। ত্রি-পক্ষীয় যুদ্ধে ব্যর্থ হয় টিটুর অভিযান। কিন্তু পরী কোথায়? ওরা তিনজনই পরীকে খুঁজতে শুরু করে। আর পরীকে খুঁজতে গিয়েই আচমকা মুখোমুখি হয় সকলে।