মো: মোশারফ হোসেন মনির,
রোজ সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম)ঃ
নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ময়নল হোসেনের(৩৬) সন্ধান মিলেনি। পুলিশ উক্ত ঘটনায় কোন প্রকার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও বিরুপ প্রতিকৃয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৭নভেম্বর ময়নলের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার মুরাদনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
নিখোঁজ ময়নল হোসেন উপজেলার আকুবপুর গ্রামের ফুল মিয়া হাজীর ছেলে।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর ময়নল হোসেন সৌদিআরব থেকে ছুটিতে বাড়িতে অসে। গত ২ নভেম্বর সকাল আট টায় ময়নল হোসেন ব্যক্তিগত কাজে বাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাহির হন। পরে বাড়িতে ফিরে না আসায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। সন্ধান না পেয়ে অবশেষে নিখোঁজের পাচঁ দিন পর গত ৭ নভেম্বর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার মুরাদনগর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন।
ময়নল হোসেনের মা আমেনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ময়নল হোসেনকে স্ত্রী ও তার বাবার বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে। পরবর্তিতে গত ৮ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে কুমিল্লা আদালতে ৭জনকে আসামি করে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখার অভিযোগে একটি মামলা করি। বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার রহস্য খুঁেজ বের করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: ফজলোল কাদের চৌধুরী জানান, ময়নলে সন্ধানে খুলনার সোনাডাঙ্গার মানক ও কবির নামের দু’জনকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে জিজ্ঞাসা বাদের, তথ্যের সূত্রে গোপালগঞ্জ জেলার চরসোনারকর এলাকা থেকে কেম উদ্দিনের ছেলে নাজমোল্লাকে(৩৫) আটক করা হয়। আটককৃত নাজমোল্লা কাছ থেকে ময়নলে ব্যবহার করা মোবাইল সিম কার্ডটি উদ্ধার করা হয়। এ মামলাটি কিছু দিন পূর্বে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তে হস্তান্তর করা হয়েছে।