জাতিয় ডেস্কঃ
রাজধানির প্রধান সড়কগুলোর মতো কুড়িল থেকে রামপুরা হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত মূল সড়ক, শাহবাগ থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর সড়কে রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী ৭ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। যানজট নিয়ন্ত্রণে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৯ জুন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) বৈঠকে ‘ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন দূর/বন্ধ, ফুটপাথ দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে’ সাঈদ খোকনকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী বুধবারের বৈঠক হয়।
রিকশা বন্ধ হলে বিকল্প থাকবে জানিয়ে মেয়র খোকন বলেন, ‘রিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে নাগরিকদের যেন চলাচলে সমস্যা না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাত্রীদের যেন যানবাহন পেতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য পরিবহন মালিক সমিতি এবং বিআরটিসি পর্যাপ্ত বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করবে।’
রাজধানীতে বিমানবন্দর সড়ক, ফার্মগেট হয়ে শাহবাগ, মিরপুর রোডের প্রধান সড়কে আগে থেকে রিকশা নিষিদ্ধ রয়েছে। নানা সময় ধারাবাহিকভাবে এই রাস্তাগুলোতে রিকশা তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হলেও পরে যান্ত্রিক যানবাহন চালু হয়ে যায়।
মেয়র জানান, সাতদিন পর কমিটি আবার বৈঠকে বসে এই কমিটি কার্যক্রম পর্যালোচনা করবে। এই কমিটির মূল দায়িত্ব পর্যায়ক্রমে ঢাকার মূল সড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেটা নিশ্চিত করা। এজন্য সড়কে অবৈধ রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অবৈধ লেগুনা অপসারণ করে যানজট পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং ফুটপাত পথচারী চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া।
ফুটপাতে জনগণের হাঁটার পথ নির্বিঘ্ন করতে অতীতে বহুবারের মতো হকার উচ্ছেদের ঘোষণাও দিয়েছেন মেয়র। বলেন, ‘এসব সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজ নিজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অপসারণ করবে।’
‘এসব সড়কের পাশের যেসব ভবন বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে, ভবনের র্যাম্প ফুটপাতে চলে এসেছে। এগুলো পথচারী চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। রাজউক এসব ভবন চিহ্নিত করে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক রকিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।