ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (বি-বাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী দক্ষিণ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই সময় মেয়ের গলা থেকে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আহত দুই ভাই বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আইলপাড়া গ্রামের দুই ভাই ও বোন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী দক্ষিণ পাড়ায় নানা মৃত আব্দুস সাত্তার ফুল মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে রূপসদী দক্ষিণ বাজার মন্দির সংলগ্ন এই ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে মাষ্টার্স পাশ করা সালামা আক্তার (২৫) কে দেখে রূপসদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম নজুর ছোট ভাই মোহন মিয়া মেয়েটিকে ধাক্কা দেওয়ায় পাশে থাকা তার দুই ছোট ভাই বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ম্যাকানিক্যাল টেকনিশিয়ান মোঃ নোমান হোসেন (২৩) ও মোঃ নাছির উদ্দিন নয়ন (১৭) প্রতিবাদ করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদেরকে মোহন ও তার লোকজন কিল-ঘুষি ও লাঠিসোঠা দিয়ে এলাপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে। তাৎক্ষনিক ভাবে প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই ভাইকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পরে হামলাকারী মোহন মিয়া পলাতক রয়েছে।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ নোমান হোসেন বলেন,‘‘আমরা দুই ভাই ও বোন রূপসদী গ্রামে নানার বাড়িতে যাওয়ার পথে নজরুল মেম্বারের ভাই মোহন আমার বড় বোনকে ইভটিজিং করে গায়ে টাচ করে। তাৎক্ষণিক ভাবে আমি ও আমার ছোটভাই প্রতিবাদ করি। মোহন ও তার সাথে থাকা আরো চার-পাঁচজন ছেলে মিলে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আমার বোন ও আমরা দুইভাইকে মারধর করে রক্তাক্ত করে আমার বোনের গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।’’
এই বিষয়ে নজরুল ইসলাম নজু বলেন,‘‘আমার ছোট ভাই মোহন আমাকে বলছে ওই মেয়ে নাকি তার বিরুদ্ধে গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ তুলছে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার ভাইকে মেয়ের দুই ভাই ঘুষি দিছে। পরে আমার ভাই ও ওদের দুই ভাইকে কিল-ঘুষি দিছে।’’