ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপকথার ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

খেলাধুলা ডেস্ক:

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করল ক্রিকেটবিশ্ব। রবিবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সুপার ওভারের নাটকীয়তায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল স্বাগতিকরা। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও তারা শিরোপা জিততে পারেনি। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো নিউজিল্যান্ডকে।

এদিন লর্ডসে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। পরে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪১ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়। টাই হওয়ায় পরবর্তীতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হয়। প্রথমে ব্যাট করে বিনা উইকেটে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। পরে নিউজিল্যান্ড এক উইকেটে ১৫ রান করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ম্যাচে বাউন্ডারি মারার দিক থেকে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছয় মারে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড ২২টি চার মারে ও ২টি ছক্কা হাঁকায়।

 

সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে নামেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বোলার ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ওভারের প্রথম বল থেকে ৩ রান নেন স্টোকস। দ্বিতীয় বল থেকে এক রান নেন বাটলার। তৃতীয় বলে চার মারেন স্টোকস। চতুর্থ বল থেকে ১ রান নেন তিনি। পঞ্চম বলে ২ রান নেন বাটলার। শেষ বলে বাটলার বাউন্ডারি মারেন। মোট রান হয় ১৫।

ইংল্যান্ডের দেয়া ১৬ রানের জয়ের টার্গেট সামনে রেখে মার্টিন গাপটিল ও জেমস নিশামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। আর জফরা আর্চারকে বোলিংয়ের দায়িত্ব দেয় ইংল্যান্ড। ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ওয়াইড হয়। পরের বল থেকে ২ রান নেন নিশাম। দ্বিতীয় বলে তিনি ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বল থেকে ২ এবং চতুর্থ বল থেকে ২ রান নেন নিশাম। পঞ্চম বল থেকে তিনি ১ রান নিতে সক্ষম হন। শেষ বলে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ রান। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান ছিলেন গাপটিল। তিনি বল মিড-উইকেটে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বল সরাসরি ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। তাই দ্বিতীয়বার রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপটিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: সুপার ওভারে জয়ী ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড ইনিংস: ২৪১/৮ (৫০ ওভার)

(মার্টিন গাপটিল ১৯, হেনরি নিকোলস ৫৫, কেন উইলিয়ামসন ৩০, রস টেইলর ১৫, টম লাথাম ৪৭, জেমস নিশাম ১৯, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, মিচেল স্যান্টনার ৫*, ম্যাট হেনরি ২, ট্রেন্ট বোল্ট ১*; ক্রিস ওয়েকস ৩/৩৭, জফরা আর্চার ১/৪২, লিয়াম প্লানকেট ৩/৪২, মার্ক উড ১/৪৯, আদিল রশীদ ০/৩৯, বেন স্টোকস ০/২০)।

ইংল্যান্ড ইনিংস: ২৪১ (৫০ ওভার)

(জ্যাসন রয় ১৭, জনি বেয়ারস্টো ৩৬, জো রুট ৭, ইয়ন মরগ্যান ৯, বেন স্টোকস ৮৪*, জস বাটলার ৫৯, ক্রিস ওয়েকস ২, লিয়াম প্লানকেট ১০, জফরা আর্চার ০, আদিল রশীদ ০, মার্ক উড ০; ট্রেন্ট বোল্ট ০/৬৭, ম্যাট হেনরি ১/২৫, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৪০, লকি ফার্গুসন ৩/৫০, জেমস নিশাম, মিচেল স্যান্টনার ০/১১)।

সুপার ওভার

ইংল্যান্ড: ১৫/০ (১ ওভার)

নিউজিল্যান্ড: ১৫/১ (১ ওভার)

ম্যাচ সেরা: বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।

ম্যান অব ;দ্য টুর্নামেন্ট: কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)।

(ঢাকাটাইমস/১৫ জুলাই/এসইউএল)

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

রূপকথার ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

আপডেট সময় ০৭:১০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
খেলাধুলা ডেস্ক:

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করল ক্রিকেটবিশ্ব। রবিবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সুপার ওভারের নাটকীয়তায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল স্বাগতিকরা। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও তারা শিরোপা জিততে পারেনি। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো নিউজিল্যান্ডকে।

এদিন লর্ডসে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। পরে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪১ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়। টাই হওয়ায় পরবর্তীতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হয়। প্রথমে ব্যাট করে বিনা উইকেটে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। পরে নিউজিল্যান্ড এক উইকেটে ১৫ রান করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ম্যাচে বাউন্ডারি মারার দিক থেকে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছয় মারে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড ২২টি চার মারে ও ২টি ছক্কা হাঁকায়।

 

সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে নামেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বোলার ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ওভারের প্রথম বল থেকে ৩ রান নেন স্টোকস। দ্বিতীয় বল থেকে এক রান নেন বাটলার। তৃতীয় বলে চার মারেন স্টোকস। চতুর্থ বল থেকে ১ রান নেন তিনি। পঞ্চম বলে ২ রান নেন বাটলার। শেষ বলে বাটলার বাউন্ডারি মারেন। মোট রান হয় ১৫।

ইংল্যান্ডের দেয়া ১৬ রানের জয়ের টার্গেট সামনে রেখে মার্টিন গাপটিল ও জেমস নিশামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। আর জফরা আর্চারকে বোলিংয়ের দায়িত্ব দেয় ইংল্যান্ড। ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ওয়াইড হয়। পরের বল থেকে ২ রান নেন নিশাম। দ্বিতীয় বলে তিনি ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বল থেকে ২ এবং চতুর্থ বল থেকে ২ রান নেন নিশাম। পঞ্চম বল থেকে তিনি ১ রান নিতে সক্ষম হন। শেষ বলে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ রান। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান ছিলেন গাপটিল। তিনি বল মিড-উইকেটে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বল সরাসরি ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। তাই দ্বিতীয়বার রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপটিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: সুপার ওভারে জয়ী ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড ইনিংস: ২৪১/৮ (৫০ ওভার)

(মার্টিন গাপটিল ১৯, হেনরি নিকোলস ৫৫, কেন উইলিয়ামসন ৩০, রস টেইলর ১৫, টম লাথাম ৪৭, জেমস নিশাম ১৯, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, মিচেল স্যান্টনার ৫*, ম্যাট হেনরি ২, ট্রেন্ট বোল্ট ১*; ক্রিস ওয়েকস ৩/৩৭, জফরা আর্চার ১/৪২, লিয়াম প্লানকেট ৩/৪২, মার্ক উড ১/৪৯, আদিল রশীদ ০/৩৯, বেন স্টোকস ০/২০)।

ইংল্যান্ড ইনিংস: ২৪১ (৫০ ওভার)

(জ্যাসন রয় ১৭, জনি বেয়ারস্টো ৩৬, জো রুট ৭, ইয়ন মরগ্যান ৯, বেন স্টোকস ৮৪*, জস বাটলার ৫৯, ক্রিস ওয়েকস ২, লিয়াম প্লানকেট ১০, জফরা আর্চার ০, আদিল রশীদ ০, মার্ক উড ০; ট্রেন্ট বোল্ট ০/৬৭, ম্যাট হেনরি ১/২৫, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৪০, লকি ফার্গুসন ৩/৫০, জেমস নিশাম, মিচেল স্যান্টনার ০/১১)।

সুপার ওভার

ইংল্যান্ড: ১৫/০ (১ ওভার)

নিউজিল্যান্ড: ১৫/১ (১ ওভার)

ম্যাচ সেরা: বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।

ম্যান অব ;দ্য টুর্নামেন্ট: কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)।

(ঢাকাটাইমস/১৫ জুলাই/এসইউএল)