ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে তীব্র গ্যাস সংকট:অবৈধ সংযোগই মূল কারন

মো: নাজিম উদ্দিনঃ

রোজ বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদে গ্যাসে ভরপুর হলেও সেই মুরাদনগরের মানুষ ভুগছে প্রকট গ্যাস সংকটে। গ্যাস সংকটে অতিষ্ঠ মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা এখন জানতে চান! প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস মুরাদনগরবাসীর আর্শীবাদ না অভিসাপ । সকাল ৬টার দিকে গ্যাস চলে যায় তা আসে রাত ৯টার পর। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক এলাকায় অবৈধ/চোরাই সংযোগকেই দায়ী করছেন ভূক্তভোগীরা। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধারাবাহিক ভাবে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ চালিয়ে যাওয়ায় চলছে এই গ্যাস সংকট। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।

জানা যায়, উপজেলা সদর, কোম্পানীগঞ্জ, নগরপাড়, উত্তর ত্রিশ, গকুলনগর, দক্ষিন ত্রিশ, কুলুবাড়ী, নবীপুর, রুপনগর আবাসিক এলাকা, গুঞ্জর,ঘোড়াশল, পৈয়াপাথরসহ কয়েকটি এলাকায় এই গ্যাস সংকট। গ্যাস না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন আবাসিক এলাকার অনেক বাড়ির মালিক। ভাড়াটিয়ারা থাকতে চাচ্ছেন না। তারা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছেন বাড়ির মালিকদের।

নগরপাড়ের বাসিন্দা লুৎফা আক্তার, পৈয়াপাথর এলাকার শিল্পী আক্তারসহ আরো অনেকে জানান, রান্না করার জন্য চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে মিট মিট করে একটু গ্যাস পাওয়া গেলেও তাতে কোনো কাজ হয় না। সকাল ও দুপুরের রান্নার জন্য কাঠ, কেরোসিন ও লাকরির চুলার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। দিনে গ্যাস না পেয়ে রাতে রান্না করে রাখতে হচ্ছে। রাতে রান্না করা বাসি খাবার খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার অনেক মানুষকে খাবারের জন্য হোটেল-রেস্তোরায় ভিড় করতে দেখা যায়।

স্হানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ কন্ঠে আরো বলেন, উপজেলার বৃহৎ ৩টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গ্যাস সরবরাহ হয় অথচ আমরাই সঠিক ভাবে গ্যাস পাই না। আবার অপরদিকে বহুদিন থেকে এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এ গ্রুপটির বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যাবস্থা না নেওয়ায়, গ্রুপটি মহৎসবের মতো চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। অবৈধ গ্যাস সংযোগকে প্রধান কারন বলে দাবি করেন। অচিরেই এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ সিন্ডিকেটর বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন ও বাণিজিক প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক এলাকায় অবৈধ/চোরাই সংযোগ গুলোকে বিচ্ছিন্ন করে গ্যাস সংকটের সমাধান করার দাবী জানান। ইতিপূর্বে এ উপজেলাবাসী সকাল সন্ধ্যা গ্যাসের দাবীতে মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও গনস্বাক্ষরের মত কর্মসুচী পালন করে আসছে।

এব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিভিউশন কুমিল্লা অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  মোঃ নিজামুল হাসান শরীফ জানান অবৈধ গ্যাস সংযোগই হচ্চে গ্যাস সংকটের প্রধান কারন এবং গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশির কথা জানিয়ে তিনি বলেন অবৈধ গ্যাস সংযোগের পাইপলাইন গুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেগুলো বিচ্ছিন্ন করলেই গ্যাস সংকট অনেকটাই কমে যাবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

মুরাদনগরে তীব্র গ্যাস সংকট:অবৈধ সংযোগই মূল কারন

আপডেট সময় ০৩:৪৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৬

মো: নাজিম উদ্দিনঃ

রোজ বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদে গ্যাসে ভরপুর হলেও সেই মুরাদনগরের মানুষ ভুগছে প্রকট গ্যাস সংকটে। গ্যাস সংকটে অতিষ্ঠ মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা এখন জানতে চান! প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস মুরাদনগরবাসীর আর্শীবাদ না অভিসাপ । সকাল ৬টার দিকে গ্যাস চলে যায় তা আসে রাত ৯টার পর। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক এলাকায় অবৈধ/চোরাই সংযোগকেই দায়ী করছেন ভূক্তভোগীরা। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধারাবাহিক ভাবে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ চালিয়ে যাওয়ায় চলছে এই গ্যাস সংকট। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।

জানা যায়, উপজেলা সদর, কোম্পানীগঞ্জ, নগরপাড়, উত্তর ত্রিশ, গকুলনগর, দক্ষিন ত্রিশ, কুলুবাড়ী, নবীপুর, রুপনগর আবাসিক এলাকা, গুঞ্জর,ঘোড়াশল, পৈয়াপাথরসহ কয়েকটি এলাকায় এই গ্যাস সংকট। গ্যাস না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন আবাসিক এলাকার অনেক বাড়ির মালিক। ভাড়াটিয়ারা থাকতে চাচ্ছেন না। তারা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছেন বাড়ির মালিকদের।

নগরপাড়ের বাসিন্দা লুৎফা আক্তার, পৈয়াপাথর এলাকার শিল্পী আক্তারসহ আরো অনেকে জানান, রান্না করার জন্য চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে মিট মিট করে একটু গ্যাস পাওয়া গেলেও তাতে কোনো কাজ হয় না। সকাল ও দুপুরের রান্নার জন্য কাঠ, কেরোসিন ও লাকরির চুলার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। দিনে গ্যাস না পেয়ে রাতে রান্না করে রাখতে হচ্ছে। রাতে রান্না করা বাসি খাবার খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার অনেক মানুষকে খাবারের জন্য হোটেল-রেস্তোরায় ভিড় করতে দেখা যায়।

স্হানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ কন্ঠে আরো বলেন, উপজেলার বৃহৎ ৩টি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গ্যাস সরবরাহ হয় অথচ আমরাই সঠিক ভাবে গ্যাস পাই না। আবার অপরদিকে বহুদিন থেকে এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এ গ্রুপটির বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যাবস্থা না নেওয়ায়, গ্রুপটি মহৎসবের মতো চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। অবৈধ গ্যাস সংযোগকে প্রধান কারন বলে দাবি করেন। অচিরেই এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ সিন্ডিকেটর বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন ও বাণিজিক প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক এলাকায় অবৈধ/চোরাই সংযোগ গুলোকে বিচ্ছিন্ন করে গ্যাস সংকটের সমাধান করার দাবী জানান। ইতিপূর্বে এ উপজেলাবাসী সকাল সন্ধ্যা গ্যাসের দাবীতে মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও গনস্বাক্ষরের মত কর্মসুচী পালন করে আসছে।

এব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিভিউশন কুমিল্লা অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  মোঃ নিজামুল হাসান শরীফ জানান অবৈধ গ্যাস সংযোগই হচ্চে গ্যাস সংকটের প্রধান কারন এবং গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশির কথা জানিয়ে তিনি বলেন অবৈধ গ্যাস সংযোগের পাইপলাইন গুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেগুলো বিচ্ছিন্ন করলেই গ্যাস সংকট অনেকটাই কমে যাবে।