ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের ৫ অনুপ্রবেশকারীকে হত্যার দাবি ভারতের

অন্তর্জাতিক:

জম্মু ও কাশ্মীরে কেরান সেক্টর দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্ডার অ্যাকশন টিমের (বিএটি) অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বানচাল করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী একথা জানায়। ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে পাঁচ অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও বিবিসির।

এদিকে কাশ্মীরে শুক্রবার অভূতপূর্ব এক নিরাপত্তাব্যবস্থা ঘোষণায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পালানোর জন্য হাজার হাজার লোক বিমানবন্দর ও বাস টার্মিনালে ভিড় করছেন।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের হামলার লক্ষ্য ছিল কেরান সেক্টরের ফরোয়ার্ড পোস্ট। প্রকাশিত ছবিতে দেখানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। যা পাকিস্তান বিএটির বিভ্রান্তিমূলক কৌশল বলে দাবি ভারতীয় সেনার।

গত কয়েকদিন থেকেই কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। শুক্রবারই তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় বেশ কিছু অস্ত্র। তাতে পাকিস্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট বলে দাবি সেনাবাহিনীর। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলার আশঙ্কায় অমরনাথ যাত্রী ও পর্যটকদের উপত্যকা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। তারপরই কেরান সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশের চেষ্টার খবর সামনে এলো।

গত ৩৬ ঘণ্টায় ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনা প্রশিক্ষিত বিএটি। এর যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পাকিস্তান মুখে এক কথা বলছে; কিন্তু তাদের কাজেই প্রমাণ জঙ্গি কাজে তারা মদদ দিয়ে চলেছে। উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই সময় জঙ্গি সংগঠন জয়শ-ই-মোহম্মদের চার সদস্যও নিহত হন। তাদের কাছ থেকে একটি স্নাইপার রাইফেল, ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস এবং পাকিস্তানি সংকেতযুক্ত মাইন উদ্ধার হয়।

গত কয়েকদিনে দুই দফায় প্রথমে ১০ হাজার, পরে আরো ২৮ হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে কাশ্মীরে। ২৮০ কোম্পানি আধা সেনা ইতিমধ্যেই মোতায়েন আছে যাদের বেশিরভাগই সিআরপিএফের।

গত দুই দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, কাশ্মীরের বিশেষ স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখে ভারতীয় সংবিধানের এমন ধারাগুলো সংশোধনের চেষ্টার অংশ হিসাবে ইচ্ছা করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। সেরকম প্রচেষ্টা হলে কাশ্মীরে যে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে, তা সামাল দিতেই বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলেও গুজব ছড়াতে থাকে।

কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধু সন্ত্রাসবাদী হামলা মোকাবিলার আশঙ্কায়। এর সঙ্গে কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক রক্ষাকবচ সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই নেই। গুজবে কান দেবেন না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

পাকিস্তানের ৫ অনুপ্রবেশকারীকে হত্যার দাবি ভারতের

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯
অন্তর্জাতিক:

জম্মু ও কাশ্মীরে কেরান সেক্টর দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্ডার অ্যাকশন টিমের (বিএটি) অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বানচাল করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী একথা জানায়। ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে পাঁচ অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও বিবিসির।

এদিকে কাশ্মীরে শুক্রবার অভূতপূর্ব এক নিরাপত্তাব্যবস্থা ঘোষণায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পালানোর জন্য হাজার হাজার লোক বিমানবন্দর ও বাস টার্মিনালে ভিড় করছেন।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের হামলার লক্ষ্য ছিল কেরান সেক্টরের ফরোয়ার্ড পোস্ট। প্রকাশিত ছবিতে দেখানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। যা পাকিস্তান বিএটির বিভ্রান্তিমূলক কৌশল বলে দাবি ভারতীয় সেনার।

গত কয়েকদিন থেকেই কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। শুক্রবারই তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় বেশ কিছু অস্ত্র। তাতে পাকিস্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট বলে দাবি সেনাবাহিনীর। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলার আশঙ্কায় অমরনাথ যাত্রী ও পর্যটকদের উপত্যকা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। তারপরই কেরান সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশের চেষ্টার খবর সামনে এলো।

গত ৩৬ ঘণ্টায় ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনা প্রশিক্ষিত বিএটি। এর যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পাকিস্তান মুখে এক কথা বলছে; কিন্তু তাদের কাজেই প্রমাণ জঙ্গি কাজে তারা মদদ দিয়ে চলেছে। উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই সময় জঙ্গি সংগঠন জয়শ-ই-মোহম্মদের চার সদস্যও নিহত হন। তাদের কাছ থেকে একটি স্নাইপার রাইফেল, ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস এবং পাকিস্তানি সংকেতযুক্ত মাইন উদ্ধার হয়।

গত কয়েকদিনে দুই দফায় প্রথমে ১০ হাজার, পরে আরো ২৮ হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে কাশ্মীরে। ২৮০ কোম্পানি আধা সেনা ইতিমধ্যেই মোতায়েন আছে যাদের বেশিরভাগই সিআরপিএফের।

গত দুই দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, কাশ্মীরের বিশেষ স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখে ভারতীয় সংবিধানের এমন ধারাগুলো সংশোধনের চেষ্টার অংশ হিসাবে ইচ্ছা করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। সেরকম প্রচেষ্টা হলে কাশ্মীরে যে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে, তা সামাল দিতেই বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলেও গুজব ছড়াতে থাকে।

কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধু সন্ত্রাসবাদী হামলা মোকাবিলার আশঙ্কায়। এর সঙ্গে কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক রক্ষাকবচ সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই নেই। গুজবে কান দেবেন না।