মোঃ জুয়েল রানা, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে:
মাসুম তার এই মানব সেবার বিষয়ে আরো জানান, মানব সেবা এখন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। তিনি চাইলেও এটা ছাড়তে পারবেন না। কারন মানুষের সেবার দ্বারা তিনি যে নিষ্পাপ হাসি দেখতে পান, সেটা তার কাছে হিরা-মুক্তার চেয়েও দামী। মানুষকে ভালবেসে তিনিও পেয়েছেন অক্রিতিম ভালবাসা।
শুধু মানব সেবা করেই ক্ষ্যান্ত হননি ৩৯ বছর বয়সী এই মাসুম। পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয় রোধে রাসেল মিয়ার জনপ্রিয় সমাজ সচেতনমূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সংশোধন এর সহকারী পরিচালক ও অভিনেতা হিসেবে কাজ করছেন।
এদিকে আবার আরিফুল ইসলাম মাসুম -এর ফেসবুক পেইজ ঘুরে পাওয়া গেছে অবাক হওয়ার মতো অনেক দৃশ্য। রাস্তার পাগল/পাগলীদের নিয়ে একসাথে এক টেবিলে হোটেলে খেতেও দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, সমাজের চোখে নিচু শ্রেণীর মানুষের তিনি যে কত সহজে আপন করে বুুকে টেনে নিয়েছেন সেটারও আবেকঘন দৃশ্যটি চোখে পড়ে। তবে অনেক ছবি ও ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তার অবহেলিত ক্ষুধার্ত ও সুবিধা-বঞ্চিত মানুষকে ফল-মূল খাওয়াচ্ছেন। এবং আর্থিক সহয়তাসহ অসুস্থ মানুষদের নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে দালাল মুক্ত চিকিৎসা সেবায় সবাই কে উৎসাহিত করেন
জানতে চেয়েছিলাম মাসুম এর আয়ের উৎস সম্পর্কে। তিনি আমাদেরকে জানান, ‘আয়ের উৎস বলতে আমার একটা ছোট ফার্মেসী দোকান আছে। সেখান থেকে যেটা আসে সেটা দিয়ে আমরা চলি এবং বিভিন্ন মানুষ সাহায্য সহযোগিতা করি।’
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল মতিন ও মাতা রাফিয়া খাতুনের ছেলে আরিফুল ইসলাম মাসুম। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক বেশি না হলেও সমাজ সম্পর্কে ধারণা অনেক। সুন্দর সমাজ গঠনে মাসুম এক অপ্রতিদ্বন্ধী যুবকের নাম। তিন ভাই চার বোনের মধ্যে বড় ভাই ১৯৯৭ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মাসুম এক ছেলে ও দুটি কন্যা সন্তানে জনক। সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে ছেলের এমন ভালবাসায় দেখে মা-বাবাও মু্গ্ধ।