এএনএ মুরাদ:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চার জন গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশংকা জনক রয়েছে বলে জানাগেছে।
সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বড়পুকুরিয়া গ্রামের রহিম ক্যাপ্টিনের বাড়ির সহকারী পুলিশ সুপার(ডিএমপি) ফিরোজ কায়সারের চাচা নায়েব সুবেদার ফজলুল করিমের এ ঢাকাতির ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নায়েব সুবেদার ফজলুল করিম(৬৫), ছেলে সুমন আহম্মদ(৩০), মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর আলম(৪৫), ভাই জহির(৪০)।
নায়েব সুবেদার ফজলুল করিরে স্ত্রী আমেনা জানান, ১০ থেকে ১৫ জনের মুখোশ পড়া অস্ত্রধারী একদল ডাকাত রাত্র ২টার দিকে আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাত দল যখন গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করছিল তখনই আমার মেয়ে শব্দ শুনে উঠে আসে। গেইটে এস দেখে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহ মুখোশ পরা একদল ডকাত ভীতরে প্রবেশ করতেছে। তখন সে ডাকাত বলে চিৎকার করলে পাশের রুম থেকে আমার ছেলে সুমন ও মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর ছুটে আসলে ডাকাতরা তাদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাত করে। এসময় আমার স্বামী নায়েব সুবেদার ফজলুল করিম ও দেবর জহির এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। এ সময় আলমিরার তালা ভেঙ্গে ব্যাবসার ৩ লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ন অলংকার লুট করে নেয়।
পরে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ডাকাতি হামলার ঘটনা ঘোষনা করলে এলাবাসী এগিয়ে এলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে মটর সাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
এসময় ডাকাতের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহতের প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি খবর পেয়ে রাত্রেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার স্থল থেকে ডাকদের ফেলে যাওয়া একটি ছুরি, একটি টর্চলাইট ও একজোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।