চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, রাত ১০টার দিকে হাড়িখোলা এলাকায় অপহৃত নারীসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা আমাকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দেয়। ওই খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলে সেখান থেকে এক নারী ও মাইক্রোবাসসহ গাড়ি চালককে আটক করা হয়।
অপহৃত নারী (কিশোয়ারা জাহান) জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় তিনি মুরাদনগর উপজেলা সদরে অফিসের কাজ শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ওই উপজেলার রহিমপুর আশ্রমের সামনে অটোরিকশার গতিরোধ করে কতিপয় যুবক তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে। কিশোয়ারা আরো বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর একই উপজেলায় কর্মরত পরিবার কল্যাণ সহকারী দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর পর থেকে এক যুবক প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় তিনি মুরাদনগর থানায় ইতোপূর্বে একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাত-আটজন যুবক তাকে মুরাদনগর থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। পথে মহাসড়কের হাড়িখোলা এলাকায় পৌঁছে গাড়িটি থামালে আমি নেমে দৌঁড়ে একটি চা দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদের মধ্যে গাড়ি চালককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রসুল আহমেদ জানান, অপহরেণের ঘটনাস্থল মুরাদনগর হওয়ায় সেখানকার ওসির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তারা এলে অপহৃতকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অপহরণের অভিযোগ নিয়ে এখনও সুষ্পষ্ট ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করা হবে।