অন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনে ভয়াবহ টাইফুন ঝড়ে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অন্তত ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া ঝড়ে অন্তত ১০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। শনিবার দেশটির তাইওয়ান ও চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাই এর মধ্যবর্তী ওয়েনলিংয়ে টাইফুন লেকিমা আঘাত হানে।
প্রথমে এটিকে সুপার টাইফুন মনে করা হলেও স্থলভাগে আঘাত হানার আগে তা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। স্থলভাগে আঘাত হানার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮৭ কিলোমিটার।রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়েনজু শহরে একটি বাঁধ ভেঙে মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এখন বাতাসের বেগ কিছুটা কমে জেজিয়াং প্রদেশের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এরপর ২০ লাখ অধিবাসীর শহর সাংহাইয়ের দিকে ঝড়টি অগ্রসর হতে থাকে।
জরুরি কর্মীরা বন্যা থেকে আটকা পড়া গাড়ি চালকদের উদ্ধারে কাজ করছেন। ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের তার পড়ে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ অন্তত এক হাজার ফ্লাইট ও ট্রেইন সার্ভিস বাতিল করেছে। ওয়েনলিং শহরের আড়াই লাখ ও জেজিয়াংয়েল ৮ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যে বিদ্যুৎ লাইনগুলি তীব্র বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অন্তত ২৭ লাখ বাড়িঘরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। সিনহুয়া নিউজের খবরে বলা হয় চলতি বছর দেশটিতে নবম বারের মতো টাইফুন আঘাত হানল।