বিনোদন ডেস্ক:
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এক তীব্র উত্তেজনার সময় ভারতকে যুদ্ধে উৎসাহ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বিরুদ্ধে। লস এঞ্জেলেসে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যখন সৌন্দর্য বিষয়ক এক সম্মেলনে হাজির হন, তখন সেখানে এক পাকিস্তানি-আমেরিকান নারী তাকে ‘ভণ্ড’ বলে অভিহিত করেন।
সে সময় দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনা চলছিল।
লস এঞ্জেলেসে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যে সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সেটির নাম ‘বিউটিকন।’
সেখানে আয়েশা মালিক নামে এক পাকিস্তানি-আমেরিকান নারীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। ওই নারী বলেন, ‘আপনি যখন মানবতার কথা বলেন, তখন সেটা শুনতে বেশ খারাপ লাগে, কারণ আপনার প্রতিবেশী হিসেবে, একজন পাকিস্তানি হিসেবে আমি জানি, আপনি একজন ভণ্ড।’
আয়েশা মালিক তার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার এই কথাবার্তার ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার টুইটের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি ইউনিসেফের শান্তির দূত। আর আপনি কিনা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধে উৎসাহ দিচ্ছেন। এই যুদ্ধে তো কেউ জয়ী হবে না।’
এ কথা বলার পর আয়েশা মালিকের হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়া হয়।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ২০১৬ সাল থেকে ইউনিসেফের শান্তির দূত।
আয়েশা মালিকের কথার জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তানে তার অনেক বন্ধু আছে এবং তিনি যুদ্ধের পক্ষে নন। কিন্তু তিনি একজন দেশপ্রেমিক।
এক বছরের শুরুতে যখন এক হামলায় ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়, তখন ভারত আর পাকিস্তানের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। পাকিস্তান ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলা চালায় বলে দাবি করা হয়।
এর প্রতিশোধ নিতে ভারত যখন পাকিস্তানের ভেতর হামলা চালায় তখন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া টুইট করে তার প্রশংসা করেছিলেন।
আয়েশা মালিকের অভিযোগের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমি ভারতের লোক। আমি যুদ্ধের ভক্ত নই, কিন্তু আমি দেশপ্রেমিক। কাজেই আমার কথা শুনে যদি আমাকে ভালোবাসে এমন কারও অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, আমি দুঃখিত। আমি মনে করি আমাদের সবাইকে আসলে একধরনের মাঝামাঝি পথে হাঁটতে হবে।’
তিনি আয়েশা মালিকের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘এই মেয়ে, চিৎকার করো না। আমরা সবাই এখানে ভালোবাসার জন্য এসেছি। নিজেকে বিব্রত করো না। তোমার প্রশ্নের জন্য এবং তোমার উৎসাহের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’-বিবিসি বাংলা